ব্লগার আসিফের জামিন
২৮ জুন ২০১৩খবর পেয়ে আসিফকে তাঁর ফেসবুকে অনেকেই অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন৷ অনেকে বলেছেন, তাঁরা আবারও আসিফের লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করছেন৷ যেমন সৌভিক সজীব লিখেছেন, ‘‘প্রত্যাবর্তন শুভ হোক৷ আবারো আপনার জ্বালাময়ী লেখার অপেক্ষায় আছি...৷'' কৌশিকের মন্তব্য, ‘‘জানি, আপনি থেমে থাকবেন না৷''
সম্রাট কনিষ্কের আশা সরকার একদিন না একদিন আসিফের কাছে ক্ষমা চাইবে৷ কারণ তাঁর মতে, ‘‘যেসব কাল্পনিক সত্ত্বার অবমাননার অভিযোগ সরকার এনেছে তাদের অস্তিত্বের প্রমাণ বাংলাদেশ সরকার কোনোদিনই করতে পারবে না৷''
দলছুট শুভ লিখেছেন, ‘‘হাল ছাড়বেন না নিশ্চয়ই জানা আছে৷ আবার কিবোর্ডের ঝংকার শুনতে চাই৷'' একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আসিফকে ইউটিউব থেকে সুমনের ‘হাল ছেড়না বন্ধু' গানটি পাঠিয়েছেন মনোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আবদুল্লাহ আল তারেক লিখেছেন, ‘‘অনেক আশা নিয়ে ফেসবুকে এসেছিলাম৷ ভেবেছিলাম মুক্তচিন্তা প্রকাশের এবং প্রচারের একটি চমৎকার মাধ্যম হাতে পেয়ে গেছি৷ কিন্তু আমার ধারণা যে ভুল ছিল তা এখন হাড়ে-মজ্জায় টের পাচ্ছি৷''
তবে এরপরও মুক্তচিন্তা চর্চা থেমে থাকবে না বলেই আশা তারেকের৷ তিনি বলেন, একসময় আরজ আলী মাতুব্বরকে তাঁর লেখার জন্য জেলখানায় ঢোকানো হয়েছিল৷ কিন্তু তাঁর লেখা এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে পড়ানো হয়৷ এছাড়া সতীদাহ প্রথা বন্ধ করায় রামমোহনকে, বহুবিবাহের বিরোধিতা ও বিধবা বিয়ে চালুর উদ্যোগ নেয়ায় বিদ্যাসাগরকে, নারীশিক্ষা আন্দোলন করায় বেগম রোকেয়াকে তাঁদের নিজ নিজ কালের রক্ষণশীলদের দ্বারা প্রবল বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল৷ তবুও তাঁদের থামানো যায়নি৷ বরং তাঁদের কারণেই আজ ভারতবর্ষে সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে৷ বিধবারাও বিয়ে করার অধিকার পাচ্ছেন৷ আর অবরোধবাসিনী নারীরা পাচ্ছেন শিক্ষার অধিকার৷