একজন মা-কে বাঁচাতে...
১৩ মার্চ ২০১৪আমার ব্লগে সৌমেন চক্রবর্তীর একটি কবিতা পড়ে মনে পড়ে যায় ঋত্বিক ঘটকের ‘অযান্ত্রিক' ছবির কথা৷ জীর্ণ-পুরাতন গাড়ির প্রতি চালকের পাগল পাগল ভালোবাসা৷ যন্ত্রের প্রতি তো দূরের কথা, মানুষের প্রতিই বা মানুষ আজ কতটা ভালোবাসা অনুভব করেন? সৌমেন তাঁর কবিতায় মানবিক অনুভূতিকে দূরে রেখে বেঁচেবর্তে থাকার কথাই বলেছেন৷ কবিতার নাম, ‘যন্ত্রের গান'৷
আমার ব্লগের এই ব্লগার, কবি অবশ্য আবেগ, অনুভূতিকে তুচ্ছ মানতে রাজি নন৷ তাই তো কবিতার শুরুতেই তাঁর প্রশ্ন, ‘‘তবে দিন এভাবেই যাবে?''
সবার জীবন এভাবে যায় না৷ কেউ কেউ দঙ্গলেও দলছুট৷ সরল পথের গরল থেকে দূরে থেকেও তাঁরা বাঁচতে জানেন৷ মুমূর্ষুকে বাঁচানোয় খুঁজে পান আনন্দ৷ সামহয়্যারইন ব্লগে মো. খালিলুর রহমান-এর পোস্ট ‘এক মা'-কে বাঁচানোর প্রয়াস৷
নিজের মা নয়, হয়ত কোনো বন্ধু কিংবা পরিচিতজনের মা৷ সেই মা-র বাইপাস সার্জারির জন্য রক্তের প্রয়োজন৷ এবি নেগেটিভ গ্রুপের সাত ব্যাগ রক্ত পেলে একজন মা হয়ত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন৷ সবার কাছে জরুরি ভিত্তিতে এবি নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত আহ্বান করে খালিলুর রহমান লিখেছেন, ‘‘যদি মা-কে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন, আপনি বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে থাকুন আমরা আপনার যাতায়াতসহ সকল খরচ বহন করব৷ এবং কথা দিচ্ছি– আপনার অথবা আপনার কোনো আত্নীয়ের প্রয়োজনে যে কোনো গ্রুপের রক্তের ব্যবস্থা করব৷''
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ