ব্লাসফেমি: পাকিস্তানে স্কুল-মন্দির তছনছ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯দেশটির দক্ষিণ প্রদেশের সিন্ধু প্রদেশে মহানবীকে (সা.) নিয়ে একজন হিন্দু অধ্যক্ষ অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন বলে একজন শিক্ষার্থী অভিযোগ তুললে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে৷
জেলা পুলিশ প্রধান ফুররুখ আলী রয়টার্সকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা একটি স্কুলে ভাংচুর করে এবং একটি মন্দিরে হামলা চালায়৷ এরপর অধ্যক্ষকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ উভয় ঘটনারই তদন্ত শুরু করেছে৷ মনে হচ্ছে অধ্যক্ষ ইচ্ছা করে কিছু করেননি৷
ইসলাম ধর্মের মহানবীকে অপমান করলে পাকিস্তানে বাধ্যতামূলকভাবে মুত্যুর সাজা হয়৷ প্রায় ৯৫ শতাংশ মুসলমানের এই দেশে কঠোর ব্লাসফেমি আইন কার্যকর রয়েছে৷ পাকিস্তানে ব্লাসফেমির জন্য এখনও কোনো ফাঁসি কার্যকর করা না হলেও এই আইনের বলে সংঘবদ্ধ জনতাকে কখনো কখনো হত্যা করা হয়েছে৷
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ধর্মবিরোধী এই ব্লাসফেমি আইনটি সাধারণত ধর্মীয় কট্টরপন্থিদের পাশাপাশি সাধারণ বহু পাকিস্তানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়৷
পাকিস্তানের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ এই টুইটে কমিশন এই ঘটনাকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বর্বর হিংস্রতা এবং একে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছে৷
পাকিস্তানের ২০৮ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ সুন্নি মসুলমান, হিন্দু সম্প্রদায়ের ১ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ সেখানে বসবাস করে৷
গত জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলায় ব্লাসফেমির দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে কয়েক বছর জেলে কাটানো এক খ্রিস্টান নারীর খালাসের আদেশ বহাল রেখেছে৷
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে হিন্দুদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার গত মার্চে পাকিস্তানের এক প্রাদেশিক মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়৷
এসআই/কেএম (রয়টার্স)