টিআইবি’র প্রতিবেদন
২৮ ডিসেম্বর ২০১২বাংলাদেশের সেবা খাত নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি'র এবারের জরিপ ছিল তুলনামূলক৷ মোট ১৩টি সেবা খাতের দুর্নীতির তুলনা করা হয় ২০১০ সালের সঙ্গে৷ ২০১১ সালের মে মাস থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলার সেবা খাত নিয়ে জরিপটি চালানো হয়৷ তাতে দেখা যায়, ২০১০ সালে তুলনায় বর্তমান সময়ে সেবা খাতে দুর্নীতি সার্বিকভাবে ৩০ ভাগ কমেছে৷ তবে টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, এতে প্রমাণ হয় না যে দুর্নীতির ভয়াবহতা কমেছে৷
১৩টি সেবা খাতের মধ্যে দুর্নীতিতে শ্রম ও অভিবাসন খাত রয়েছে শীর্ষে৷ এরপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারিক সেবা এবং ভূমি প্রশাসনের অবস্থান৷ জরিপে দেখা যায় যে, সেবা পেতে মানুষকে কোনো না কোনোভাবে অর্থ খরচ করতে হয়৷ ৫৩.৩ শতাংশ মানুষ সরকারি সেবা পেতে গড়ে ১৩ হাজার টাকা খরচের কথা বলেন৷ আর শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে এই সেবা দানের সঙ্গে জড়িতদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবও অর্থ আদায় করে থাকেন৷ টিআইবি'র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলনে, সরকারি সেবা নিতে মানুষের খরচ আগের চেয়ে বেড়ে গেছে৷ তাই হয়ত আগের চেয়ে কম মানুষ সেবা নিতে যান৷ আর সে কারণেই হয়ত সার্বিক দুর্নীতি কমেছে৷
সুলতানা কামাল বলেন, বড় বড় খাতে দুর্নীতির ভয়াবহতা অবশ্য কমেনি৷ আর যেখানে কমে এসেছে সেখানেও কমেনি ভয়াবহতা৷
জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে যে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়াই যথেষ্ঠ নয়৷ সাধারণ মানুষকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে৷