বড়পুকুরিয়া মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ৮ আগস্ট
১৩ জুলাই ২০২৩খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীর শুনানি মুলতবি চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-দুই এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এই আদেশ দেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবেদনে মাসুদ বলেন, "সরকারের নির্বাহী আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কারাগারের বাইরে থাকা খালেদা জিয়া বর্তমানে অসুস্থ এবং তিনি তার গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুতরাং এই শুনানি মুলতবি করা উচিত।"
এ ছাড়া মামলার তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে জব্দ করা কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও তারা এখনো পাননি বলেও জানান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, "আসামিপক্ষ মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে।"
এর আগে খালেদা জিয়ার হাজিরা মওকুফ করা হয়েছিল এবং তার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেসবাহ আদালতে তার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
শুনানির সময় বর্তমানে জামিনে থাকা মামলায় আরও তিন আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ সাত জন অনুপস্থিত ছিলেন। মামলার অন্য আসামি মো. সিরাজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সর্বোচ্চ দরদাতাকে দেওয়া বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি চুক্তিতে ১৫৯ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তার সাবেক মন্ত্রিসভার ১০ জনসহ ১৬ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেছিল।
২০০৮ সালের ৫ অক্টোবর এ মামলায় খালেদাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে দুদক। বিচার চলাকালীন সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও আবদুল মান্নান ভূঁইয়াসহ সাত আসামি মৃত্যুবরণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এর ফলে বর্তমানে তালিকা থেকে নয় জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
জেকে/কেএম (ডেইলি স্টার)