সোহেল রানা গ্রেফতার হয়নি
২৭ এপ্রিল ২০১৩স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন রানাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে৷
সাভারে বুধবার রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ইমতেমাম হোসেন এবং সহকারী প্রকৌশলী আলম হোসেকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ আর ঐ ভবনে অবস্থিত ২টি তৈরি পোশাক কারখানা নিউ ওয়েভ বটমস-এর মালিক বজলুস সামাদ আদনান এবং নিউ ওয়েভ স্টাইল-এর মালিক মাহমুদুর রহমান তাপসকে গ্রেফতার করা হয়েছে হত্যা মামলায়৷ তারা ভবনটি ত্রুটিপূর্ণ জেনেও বুধবার সকালে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেছিলেন৷ এছাড়া ভবনের মালিক সোহেল রানার স্ত্রী মিতুসহ তার চার আত্মীয়কে আটক করা হয়েছে৷ কিন্তু সোহেল রানা এখনো পলতাক আছেন৷
সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফিরোজ কবীর ডয়চে ভেলেকে জানান, ভবন ধসের দিন সকালে রানা ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে তার অফিসেই ছিলেন৷ তিনিও সেখানে আটকা পড়েন৷ কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ লোকজন নিয়ে তাকে উদ্ধারের পর পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন৷
তিনি বলেন সোহেল রানা যুবলীগের কেউ নয় বলে যে দাবি করা হচ্ছে তাও ঠিক নয়৷ সে সাভার পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক৷ যুবলীগে যোগ দেয়ার আগে সে ছাত্রলীগ করত৷ স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক কমিটির যে কাগজ দেখাচ্ছেন তা পুরনো কমিটির৷ সোহেল রানা যুবলীগের নতুন কমিটির নেতা৷ তিনি দাবি করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসত্য তথ্য দিচ্ছেন৷
এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ডয়চে ভেলেকে জানান সোহেল রানাকে গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ সংসদ সদস্য যদি তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে থাকেন এবং তদন্তে যদি তা প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ আর সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ সোহেল রানার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান রানাকে তিনি পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেননি৷
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ধসে পড়া রানা প্লাজা থেকে ৩৪১টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ আত্মীয় স্বজনের কাছে ৩২৬টি লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে৷ আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২,৪২০ জনকে৷ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন ধসে পড়া ভবনের ভিতরে যতক্ষণন প্রাণস্পন্দন পাওয়া যাবে ততক্ষণ উদ্ধার অভিযান চলবে৷
এদিকে আগামী বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা এবং সিপিবি-জাসদ৷ ভবনের মালিক এবং আরো তিন গার্মেন্টস মালিককে গ্রেফতারের দাবিতে তারা এই হরতাল ডেকেছে৷