ভবিষ্যতের ‘মানিব্যাগ’ মুঠোফোন
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ভবিষ্যতে হয়ত আর পকেটে কাগজের টাকার নোট নিয়ে ঘুরতে হবে না, ঝামেলা থাকবে না পয়সা হিসেবের আর টাকা খুচরা করার৷ বরং দোকানে গিয়ে মুঠোফোনটি ছোট্ট একটি যন্ত্রের সামনে ধরলেই হয়ে যাবে সব হিসেবনিকেশ৷ আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা চলে যাবে বিক্রেতার কাছে৷ প্রযুক্তিবিদদের কথা বিশ্বাস করলে, এমন দিন খুব বেশি দূরে নয়৷
অনেকেই হয়ত বলবেন, এভাবে কেনাকাটাতো এখনও করা যায়৷ গুগল ওয়ালেট, পেপলতো ইন্টারনেটে এভাবে কেনাকাটার সুযোগ দিচ্ছে৷ কথা সত্যি, তবে গুগল ওয়ালেট কিংবা পেপলের সীমাবদ্ধতা রয়েছে৷ ব্যাপক আকারে একেবারে পাড়ার দোকান থেকে শুরু করে সব জায়গায় ক্যাশহীন কেনাকাটার জন্য দরকার ভিন্ন ব্যবস্থা৷
এভাবে ব্যাপক আকারে কেনাকাটার জন্য তৈরি হয়েছে নতুন ধরনের ব্যবস্থা৷ কারিগরী ভাষায় একে বলা হয়, ‘নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন' বা এনএফসি৷ এই পদ্ধতিতে সকল ধরনের প্রযুক্তিনির্ভর ‘ইলেকট্রনিক' লেনদেন করা যাবে আরো সহজে, দ্রুত এবং নিরাপদ উপায়ে৷
এনএফসি চিপ বিভিন্ন গেজেটের মধ্যে তারহীন যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম৷ ফলে আপনি কোন কিছু কেনার পর সেটির বিল দিতে এনএফসি চিপের সামনে স্মার্টফোনটি ধরলেই হবে৷ মুঠোফোন ছাড়া ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গেও এনএফসি চিপের যোগসূত্র স্থাপন সম্ভব৷
জার্মান ই-কমার্স লবি গ্রুপ বুন্ডেসফেরবান্ড ইনফোমাৎসিউনসভির্টশাফট মনে করে, এনএফসি প্রযুক্তি ব্যবহার করে শীঘ্রই গোটা জার্মানিতে ‘মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম' চালু হয়ে যাবে৷ অবশ্য এনএফসি প্রযুক্তি জার্মানির আইন অনুযায়ী ভোক্তার ‘তথ্য সুরক্ষা' নিশ্চিত করতে পারে কিনা সেটা নিয়ে এখনো সন্দেহ রয়েছে৷ তবে লবি গ্রুপ মনে করে, এই প্রযুক্তির উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে৷ ফলে তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি সমাধান করা সময়ের ব্যাপারের মাত্র৷
জাপান কিন্তু এক্ষেত্রে জার্মানির চেয়ে বেশ এগিয়ে৷ সেদেশের গণপরিবহনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে এনএফসি প্রযুক্তি ব্যবহার করে৷ তাও আবার গত দশ বছর ধরে!