ভাঙলো মিলন মেলা: নতুন বই বেশি এলেও বিক্রি কমেছে
২ মার্চ ২০০৯আগামী বছর আবার জমবে মেলা৷ এ আশায় এক বছরের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণবেন সবাই৷ এবার বাঁধাই সংকট সত্ত্বেও নতুন বই এসেছে গতবারের চেয়ে বেশি৷ কিন্তু কমে গেছে বইবিক্রির হার৷
এবার পাঠ্যপুস্তক সংকটের প্রভাবে আশংকা করা হচ্ছিল নতুন বইয়ের প্রকাশনা হয়তো কমে যেতে পারে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত গেলবারের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে৷ এবছর মেলায় নতুন বই এসেছে ২৭৪১টি৷ গেলো বছর এ সংখ্যা ছিল ২৫৭৮টি৷ বাংলা একাডেমীর নিজস্ব জরিপ অনুসারে এবার বই বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকার মতো৷ তাদের হিসাব মতো গতবছর বই বিক্রি হয়েছিল প্রায় বিশ কোটি টাকার মতো৷ তবে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্যে বিক্রি নিয়ে হতাশা প্রকাশ পেয়েছে৷ অসবর ও ঐতিহ্যের স্টল থেকে বলা হয়েছে এবারের বিক্রির পরিমাণ গত বছরের অর্ধেকের চেয়ে কিছু বেশি হয়েছে৷
বিক্রি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে মেলার পরিসর কমে যাওয়াকে দায়ী করেছেন অনেকে৷ বাংলা একাডেমী ভবন নির্মাণের কারণে মেলার পরিসর কমে যাওয়ায় স্টলেরও আয়তন কমে গেছে৷ তার উপর ২৫ ফেব্রুয়ারীর পিলখানার উত্তেজনার কারণে দু'দিন মেলা ছিল ফাঁকা৷ আতংকে বইপ্রেমী মানুষ মেলায় আসতে পারেননি৷
শনিবার বিকেলে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী অনুষ্ঠান৷ বাংলা একাডেমীর সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ৷ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান মজিবুর রহমান৷ অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য-সচিব ও একাডেমীর পরিচালক শাহিদা খাতুন৷
স্টলের নান্দনিক সৌকর্যের জন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান- অন্য প্রকাশ, স্টুডেন্ট ওয়েজ এবং মুক্তধারাকে পুরস্কৃত করা হয়৷ এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি৷ শেষ দিনে শনিবারও মেলায় আসে ৭৯টি নতুন বই৷