1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-চীন সীমান্তে চাপা উত্তেজনা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৬ এপ্রিল ২০১৩

ভারত-চীন সীমান্তের বিতর্কিত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করেছে চীনা ফৌজ, ভারতের এই অভিযোগের মোকাবিলা কীভাবে করা হবে তাই নিয়ে সরকার ও ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি দ্বিধাবিভক্ত৷

https://p.dw.com/p/18NNO
ছবি: dapd

সরকার আলোচনার পথে যেতে চাইলেও বিপক্ষ দল কড়া পদক্ষেপ নেবার পক্ষপাতি৷

জম্মু-কাশ্মীর এলাকার লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি সেক্টরে বিতর্কিত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে চীনা ফৌজের একটি দল ভারতীয় ভূখণ্ডের ১০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে আস্তানা গেড়ে রয়েছে ১৫ই এপ্রিল থেকে৷ যদিও চীনা কর্তৃপক্ষ অনুপ্রবেশের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, যেহেতু দু'দেশের মধ্যে প্রকৃত সীমান্ত রেখা সঠিকভাবে চিহ্নিত নয়, তাই সেটা ভারতীয় ভূখণ্ড মনে করার কারণ নেই৷ এই নিয়ে দু'দেশের মধ্যে চলেছে টানা পোড়েন৷

এই রকম রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আগামী ৯ই মে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যাচ্ছেন বেজিং সফরে৷ আর তারপর ভারতে আসছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী৷ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশ্বাস চীনা অনুপ্রবেশজনিত পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়ে যাবে৷ তারজন্য আছে বিশেষ মেকানিজম৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে দু'দেশের মতপার্থক্যের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর যাতে কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য উত্তেজনা প্রশমিত করাই সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য৷

পাশাপাশি চীন নিয়ে সংসদের ভেতরে ও বাইরে কঠোর অবস্থান নেবার দাবি জানিয়েছে প্রধান বিরোধীদল বিজেপি এবং অন্য রাজনৈতিক দল৷ তাদের মতে, মনমোহন সিং সরকার দুর্বল বলেই চীন এই ধরণের কাজ করতে সাহস পায়৷ সরকারের উচিত পাল্টা জবাব দেয়া৷

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এই ধরণের বৈরি কার্যকলাপ নতুন নয়৷ তা সে অরুণাচলপ্রদেশ হোক, স্টেপল ভিসা ইস্যু হোক বা ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর চীনের তিনটি বাঁধ নির্মাণ হোক বা দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবি হোক৷ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় পরাশক্তি হিসেবে চীনের আধিপত্য বিস্তার করাই এর প্রধান উদ্দেশ্য৷ তাই এবার যে কোনো মূল্যে ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা উচিত৷

বিশ্লেষকদের ধারণা, হালে ডারবানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং চীনের নতুন প্রেসিডেন্টের মধ্যে দু'দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা নিয়ে ইতিবাচক মত বিনিময় হয়৷ তাতে বলা হয়, সীমান্ত বিরোধ যেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর ছায়া না ফেলে৷ মনে রাখতে হবে, দু'দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে যা গেছে চীনের অনুকূলে, বলেছেন চীনা স্টাডি সার্কেলের এক কর্তা ব্যক্তি৷৷

প্রতিরক্ষা ১৫ এপ্রিলের কথিত চীনা অনুপ্রবেশের পেছনের কারণ হতে পারে সীমান্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সই করার জন্য ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করা৷ ভারতে প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির মতে, এতে চীন প্রভাব প্রতিপত্তি আরো বাড়বে এবং অনুপ্রবেশও হবে৷ এই চুক্তিতে ভারতে লাভ হবেনা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য