ভারত-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্তরের বৈঠক ইতিবাচক
২৭ জুলাই ২০১১বৈঠক শেষে ৩৪ বছর বয়সি পাকিস্তানের সর্বকনিষ্ঠ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের মন্তব্য, গতকাল দিল্লিতে নেমে এই বৈঠকের বিষয়ে যতটা আস্থাশীল ছিলাম আজ তার থেকেও বেশি আস্থাশীল৷ সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, পাকিস্তানের নবীন প্রজন্মের অগ্রদূত হিসেবে বলতে পারি নবীন প্রজন্ম ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককে দেখতে চায় ভিন্ন আলোতে৷ রচনা করতে চায় সহযোগিতার নতুন অধ্যায়৷ হিনা বলেন, পাকিস্তান চায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক৷ দু দেশের অভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে চায় শান্তিপূর্ণ সংলাপের পথে৷
উত্তরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক মজবুত করতে চায় ভারত৷ ভারত চায় সন্ত্রাসমুক্ত সম্প্রীতির পরিবেশ৷ সন্ত্রাস এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক৷ সন্ত্রাসের মূলোচ্ছেদ করতে উভয় দেশ বদ্ধপরিকর৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সঠিক পথেই এগিয়ে চলেছে৷ প্রত্যাশা মতই পুনরায় শুরু হওয়া এই বৈঠকের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি৷
আজকের বৈঠকে আস্থাবর্ধক বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয় উঠে আসে যার মধ্যে আছে মুম্বাই হামলার বিচারসহ সন্ত্রাস দমন, মাদকপাচার রোধ, ব্যবসা বাণিজ্য, উলার বাঁধ, অভিন্ন নদীগুলির জল বন্টন, স্যার ক্রীক, সিয়াচেন এবং জম্মুকাশ্মীর৷ আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ হিসেবে শ্রীনগর ও মুজফফরাবাদের মধ্যে বাস চলাচলের সংখ্যা বাড়িয়ে সপ্তাহে দুদিনের পরিবর্তে চারদিন করা , কাশ্মীর সীমান্তে বাড়ানো হবে আরো ট্রেডিং পয়েন্ট এবং একাধিক এনট্রি পয়েন্ট৷ এক যৌথ বিবৃতিতে বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ কমিয়ে মতৈক্য বাড়াতে সংলাপের পথ খোলা রাখার কথা বলা হয়৷
পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে গতকাল নতুনদিল্লিতে নেমে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়াত নেতাদের সঙ্গে পাক-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানির বৈঠককে ভালো চোখে দেখেনি ভারত৷ এর সাফাই দিতে গিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সলমান বশির বলেন, এটাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত নয়৷এটা গণতান্ত্রিক কাঠামোর অঙ্গ৷ ভারতের পররাষ্ট্রসচিব নিরুপমা রাও বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে যে দ্বিপাক্ষিক কাঠামো আছে, সেখানে সমান্তরাল কাঠামো অবাঞ্ছিত৷
হিনা রাব্বানি আজ সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং এবং বিরোধী নেত্রী সুষমা স্বরাজ ও বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা এল.কে আডবানির সঙ্গে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক