ভারত-বংলাদেশ সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করা নিয়ে আলোচনা
বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভারত সফর এসেছেন। জয়শঙ্কর ও অজিত দোভালের সঙ্গে কথা হয়েছে।
সীমান্ত-হত্যা থামাতে
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা। হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে কথা বলেছেন। সীমান্তে প্রাণঘাতী নয়, এরকম অস্ত্রই শুধু ব্যবহার করা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আলোচনা কতদূর এগিয়েছে?
দিল্লিতে ফরেন করসপন্ডেন্স ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনেকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এবারও তিনি আলোচনা করেছেন। তার মতে, এরকম ব্যবস্থা চালু হলেই ভালো হবে।
সাম্প্রতিক ঘটনা
সপ্তাহ দেড়েক আগেই বাংলাদেশের এক সীমান্ত রক্ষীর দেহ ভারতীয় সীমান্তের ৫০ মিটার ভিতরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। বিএসএফের দাবি, তার দেহে বিজিবি-র পোশাক ছিল না। বিএসএফ একটি গরু পাচারকারী দলের মোকাবিলা করছিল। তখনই তার গায়ে গুলি লাগে। হাছান জানিয়েছেন, ভারত এর জন্য ক্ষমা চেয়েছে।
চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে
চীনের সঙ্গে ভারতের যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা রয়েছে, সেখানে এই ব্যবস্থা চালু আছে। লাদাখে দুই দেশের সেনার যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তাতে কেউ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি। ভারতের অভিযোগ ছিল, চীন মুগুড়ের মধ্যে কাঁটা তার জড়িয়ে তাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছিল।
তিস্তার জল
হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, তিস্তার জলবন্টন নিয়েও কথা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই চুক্তি নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু একটি রাজ্য সরকার আপত্তি করছে। ভারতেও আর মাসকয়েক পরে নির্বাচন। নির্বাচনের পর আবার বিষয়টি নিয়ে কথা হবে। তিনি তিস্তা চুক্তি হওয়া নিয়ে আশাবাদী।
ভারত পাশে ছিল
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ''বংলাদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হয়েছে। ভারতকে ধন্যবাদ। তারা আমাদের পাশে ছিল।'' তার দাবি, ''প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রধানমন্ত্রী হাসিনার আমলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। একটা সময় ট্রানজিট বড় সমস্যা ছিল। এখন আর নেই। ভারতের থেকে বিদ্যুৎ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতের সহযোগিতায় নেপাল থেকেও বিদ্যুৎ পাচ্ছি আমরা।''
'আমরা বাংলাদেশপন্থি'
হাছান মাহমুদ বলেছেন, তার দলকে ভারতপন্থি বলা হয়, কিন্তু তারা আসলে বাংলাদেশপন্থি। তিনি বলেছেন,''বাংলাদেশের মধ্য়ে ভারত-বিরোধী কিছু এলিমেন্ট রয়েছে। তারা ভারত-বিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগাতে চায়। তবে তাদের শক্তি কমছে।'' তার ঘোষণা, ''বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারত রক্ত দিয়েছে। ভারত সাহায্য না করলে বাংলাদেশ এত দ্রুত গরিব থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে পারত না।''