1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-বাংলাদেশ

২৪ জুলাই ২০১২

নতুন দিল্লিতে ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিভাগের পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে পর্যালোচনা হয়৷ এর মধ্যে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাস দমন, বাণিজ্য, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ অন্যতম৷

https://p.dw.com/p/15dyf
India's Foreign Minister S.M. Krishna listens during a meeting with his Cuban counterpart Bruno Rodriguez at Cuba's foreign ministry in Havana June 15, 2012. REUTERS/Enrique de la Osa (CUBA - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব রঞ্জন মাথাই এবং আট সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সেদেশের পররাষ্ট্রসচিব মহম্মদ মিজারুল কায়েস৷ দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক অগ্রগতি পর্যালোচনার অনুকূল সুযোগ তৈরি হয় বৈঠকে৷ এছাড়াও, মোঃ মিজারুল কায়েস সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের সঙ্গে৷

ছিটমহল হস্তান্তর এবং ৬.৫ কিলোমিটার স্থলসীমা চিহ্নিতকরণের কাজ যত শীঘ্র সম্ভব শেষ করার জন্য ভারতকে চাপ দেয় বাংলাদেশ৷ উল্লেখ্য, ৬.৫ কিলোমিটার ভূখণ্ড নো-ম্যানস ল্যান্ড হয়ে রয়েছে গত ৪০ বছর৷ ঢাকায় মনমোহন সিং-শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত স্থলসীমা প্রোটোকল অনুযায়ী সেটা অবিলম্বে শেষ হবার কথা৷ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার অধীনে উঠে আসে ছিটমহল হস্তান্তর, বিএসএফ'এর হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনা, নারী ও শিশু পাচার, মাদক দ্রব্য এবং অস্ত্রশস্ত্র পাচার ইস্যুগুলি৷

বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভেতর ভারতীয় ছিটমহলে বসবাস করে ৩৭ হাজার ভারতীয় এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে থাকে ১৪ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক৷ বিএসএফ'এর হাতে ২০০৮ সাল থেকে এবছরের জুলাই পর্যন্ত মারা যায় ২৪৬ জন বাংলাদেশি এবং আহত হয় প্রায় ৩০০'র মতো৷ ছিটমহলগুলি হস্তান্তরিত না হওয়ায় দু'দেশের নাগরিকদের যাতায়াতের পক্ষে একটা বড় বাধা৷

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো তিস্তাসহ দু'দেশের মধ্যে জলবণ্টন চুক্তির বাস্তবায়ন৷ বৈঠকে তার অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হয়৷ বাংলাদেশ এর দ্রুত অগ্রগতি আশা করে৷ এর প্রেক্ষিতে আন্তসীমান্তে টিপাইমুখ জলবিদ্যুৎ ও সেচ বাঁধ প্রকল্পে যৌথ সমীক্ষার প্রসঙ্গ ওঠে৷ দু'মাসের মধ্যে যাতে যৌথ সমীক্ষার কাজ শুরু করা যায়, তারজন্য বাংলাদেশ তার প্রতিনিধিদের নামের তালিকা ভারতকে দিয়েছে৷ কথা আছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের ভারতের জলসম্পদ দপ্তরের সচিবের সঙ্গে মিলিত হওয়ার৷

উল্লেখ্য, যৌথ পরামর্শদাতা কমিটির প্রথম বৈঠক হয় দিল্লিতে গত মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে৷ আর তখনই ঠিক হয় যে, পররাষ্ট্র বিভাগের পরামর্শদাতা কমিটির বার্ষিক বৈঠক হবে নিয়মিতভাবে, যার মাধ্যমে দু'দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ প্রসারিত করা হবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য