1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৯ নভেম্বর ২০১৩

ভারতের রাজ্য ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চালু হলো আখাউড়া পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক চেক-পোস্ট৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্ডে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীরসহ অনেকে৷

https://p.dw.com/p/1AKEs
TO GO WITH Bangladesh-India-border-history-enclaves,FEATURE by Shafiq AlamIn this photograph taken on December 10, 2010, an Indian security official opens the gate of Indian ruled Rangpur some 350 kms north from Dhaka. Little bits of India are in Bangladesh, and little bits of Bangladesh are in India. The existence of 'enclaves' on either side of the border is a bizarre anomaly that might finally be solved by a swap. The islands of land result from ownership arrangements made centuries ago between local princes, surviving partition of the sub-continent in 1947 after British rule, and Bangladesh's 1971 war of independence with Pakistan. AFP PHOTO (Photo credit should read STRDEL/AFP/Getty Images)
ছবি: AFP/Getty Images

৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আগরতলার কাছে আখাউড়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আন্তর্জাতিক স্তরের পূর্ণাঙ্গ চেক-পোস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্ডে৷ তাঁর বক্তব্যে তিনি জানালেন, এটা আনুষ্ঠানিকতার দৃষ্টিতে না দেখে দেখতে হবে দু'দেশের বাণিজ্যিক তথা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পরবর্তী সোপান হিসেবে৷ বলা বাহুল্য, এর মাধ্যমে দু'দেশের সীমান্ত বাণিজ্য বাড়ানোর পথে যুক্ত হলো এক নতুন মাত্রা৷ ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের সঙ্গে যেভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে, বিশ্বের ইতিহাসে তা বিরল৷ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে এবং জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে ভারত তার সহায়-সম্পদের মধ্যে যতটুকু করা সম্ভব, তা করতে কৃতসংকল্প৷

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর তাঁর বক্তব্যে বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতিতে বাড়ে দেশের সমৃদ্ধি৷ জনগণের কল্যাণে রাখে অবদান৷ আখাউড়া পূর্ণাঙ্গ চেক-পোস্ট সেই অভিষ্ট লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে৷ অদূর ভবিষ্যতে সমগ্র উপমহাদেশ সামিল হবে অভিন্ন অর্থনৈতিক ইউনিয়নে৷ উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলসীমা শুল্ক কেন্দ্র ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার সব থেকে বড় স্থলসীমা বন্দর৷ দু'দেশের মধ্যে বছরে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে থাকে৷ গড়ে ২০০ বাংলাদেশি ট্রাক ত্রিপুরায় প্রবেশ করে৷ দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ ভিসা মঞ্জুর করা হয়ে থাকে৷ তবে বর্তমানে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার দরুণ সেটা কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৭০ থেকে ১০০-র মধ্যে৷

ত্রিপুরা থেকে পণ্য আমদানি বাড়ানোর কথা বলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ ২০১২-১৩ সালের হিসেবে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ত্রিপুরায় রপ্তানি করেছে ২৪৫ কোটি টাকার পণ্য আর আমদানি করেছে তার চেয়ে কম৷ উল্লেখ্য, সর্বভারতীয় ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ঘাটতি বিরাট৷ বাংলাদেশ তার মোট আমদানির ১৫ শতাংশ করে থাকে ভারত থেকে৷ যদিও বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ওপর ভারত সার্ক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির অধীনে বাংলাদেশকে দেয় শুল্ক ছাড়, সেটা ভারতের আমদানির এক শতাংশের কম৷ বেশির ভাগ হয় সীমান্তের চোরাপথে৷

ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর আরো ১৩টি পূর্ণাঙ্গ চেক-পোস্ট খুলতে চায়৷ তার জন্য পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বরাদ্দ করা হয়েছে ৬৩৫ কোটি টাকা৷ প্রথম পূর্ণাঙ্গ চেক-পোস্ট খোলায় পাকিস্তান সীমান্তে আটারিতে৷ পশ্চিমবঙ্গে পেট্রাপোল, হিলি, চ্যাংড়াবাঁধা, মেঘালয়ে ডওকি, আসামে সুতারকান্দি, মিজোরামে কাওয়ারপুলছয়া, মনিপুরে মিয়ানমার সীমান্তে মোরে৷ এছাড়া বিহারে নেপাল সীমান্তে দুটি এবং উত্তর প্রদেশে দুটি পূর্ণাঙ্গ চেক-পোস্ট খুলবে ভারত৷

ত্রিপুরার শিল্পমন্ত্রী জীতেন্দ্র চৌধুরি বাংলাদেশের সঙ্গে আরো সীমান্ত বাজার খোলার দাবি জানালে সুশীল শিন্ড জানান, ত্রিপুরার দাবি আটটি সীমান্ত হাটের, কিন্তু সবুজ সংকেত দিয়েছে চারটির৷ কসবাতে সীমান্ত হাটের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, চট্টগ্রাম থেকে ৭৫ কিমি দূরে সাব্রুমের কাজ শুরু হতে চলেছে৷ মেঘালয়ের সীমান্ত হাট ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গেছে৷ ত্রিপুরার ভৌগোলিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রবেশ-দ্বার হয়ে উঠতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য