ভারতকে ৪-০ গোলে হারালো বায়ার্ন
১১ জানুয়ারি ২০১২জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে রাত প্রায় সাড়ে দশটায় শুরু হলো প্রদর্শনী ম্যাচ৷ জার্মানিতে অবশ্য তখন সন্ধ্যা ৬টা, যাকে বলে প্রাইম টাইম৷ শীত সত্ত্বেও মাঠে প্রায় ৩২,০০০ দর্শক উপস্থিত ছিলেন৷
প্রথমার্ধেই ভারতকে নাস্তানাবুদ করে দিলেন বায়ার্নের তারকারা৷ মারিও গোমেস প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান৷ তারপর পর পর দু'টি গোল করেন টোমাস ম্যুলার৷ চতুর্থ গোলটি করেন বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার৷ প্রায় ২০ মিটার দূর থেকে নিখুঁত এই গোলটি সহজে ভোলার নয়৷ দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কোনো গোল হয় নি৷ ভয় ছিল, কাতারের এস সি সাইলিয়া ক্লাবের বিরুদ্ধে বায়ার্ন যেভাবে ১৩-০ গোলে জয়লাভ করেছিল, ভারতেরও তেমন দশা না হয়৷ কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের প্রতিরক্ষা ছিল বেশ জোরালো৷ তবে গোটা ম্যাচ জুড়েই বায়ার্ন'এর আধিপত্য ছিল দেখার মতো৷ বায়ার্ন দলের ক্যাপ্টেন ফিলিপ লাম বলেছিলেন, ‘‘ইউরোপীয় ফুটবল কাকে বলে তা আমরা দেখাতে চাই৷'' তিনি কথা রেখেছেন, এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷
বায়ার্নের টোনি ক্রোস গোল করার একটা সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়৷ আরিয়েন রবেনও একটি বড় সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেন নি৷ ভারতীয় টিমের খেলা দেখে রবেন সামগ্রিকভাবে সন্তুষ্ট৷ তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা বেশ শক্তিশালী, তাদের খেলার গতিও খারাপ নয়৷ কিন্তু টেকনিক্যাল দিক থেকে আরও অনেকটা পথ যেতে হবে ভারতীয় টিমকে৷ সেইসঙ্গে প্রয়োজন ফুটবল খেলার আরও ভালো ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো৷
৮৪ মিনিটের মাথায় বাইচুং যখন শেষ বারের মতো মাঠ ছাড়লেন, তখন চারিদিক থেকে অভিনন্দনের জোয়ার নামলো৷ বায়ার্ন'এর খেলোয়াড়রাও বাইচুং'কে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানান৷ পেশাদারী ফুটবল জীবনের শেষ ম্যাচে বায়ার্ন'এর মতো প্রতিপক্ষ পেয়ে বাইচুং আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন৷ এজন্য তিনি জার্মানির গাড়ি কোম্পানি আউডি'কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান৷ ম্যাচের পর তিনি আরও বলেন, এটা একটা বিশাল সম্মান৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক