1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে ‘ভারতীয় গুপ্তচর’

৩০ মার্চ ২০১৬

একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী৷ ভিডিওতে এক ব্যক্তি নিজেকে ভারতীয় গোয়েন্দা হিসেবে উল্লেখ করে দাবি করেন, তিনি বালুচস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় মদত দিচ্ছিলেন৷ ভারত বলছে, ওই ব্যক্তি গোয়েন্দা নয়৷

https://p.dw.com/p/1IM4t
আসিম বাজওয়া
(ফাইল ফটো)ছবি: DW/R. Saeed

ভিডিওটি রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন ডেকেই প্রকাশ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী৷ ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর)-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম বাজওয়া এবং তথ্যমন্ত্রী পারভেজ রশিদ উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁরা দু'জনই দাবি করেন, ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ ‘র'-এর এজেন্ট কুলভূষণ যাদব পাকিস্তানের বালুচস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় উসকানি দিচ্ছিলেন৷ হুসেইন মুবারক প্যাটেল নামের পাসপোর্ট নিয়ে ইরান থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করা কুলভূষণের স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিওচিত্রও প্রচার করা হয় সংবাদসম্মেলনে৷ পাকিস্তান মিডিয়ায় ভিডিওচিত্রটি ব্যাপক প্রচার পাচ্ছে৷

তবে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কুলভূষণ গোয়েন্দা নন৷ কুলভূষণের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে সাবেক নৌ-বাহিনী কর্মকর্তা কুলভূষণ চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর ব্যবসা শুরু করেছিলেন৷ ব্যবসার কাজেই তিনি আফগানিস্তান, ইরান এবং পাকিস্তানে যাতায়াত করতেন৷

পাকিস্তানে অনেকেই সেনাবাহিনীর হাতে ‘ভারতীয় গোয়েন্দা' ধরা পড়ায় খুশি৷ তাঁরা মনে করছেন, এই ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদে যে ভারতের হাত আছে তা পরিষ্কার হয়ে গেল৷

অন্যদিকে ভিডিওচিত্রের যত্রতত্র কাটাছেঁড়া দেখে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবির সত্যতা নিয়েও কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করছেন৷

তবে ভারতে ভিডিওচিত্রে বর্ণনা করা তথ্যের অসংগতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ ছয় মিনিটের ভিডিওতে কুলভূষণ যাদব এক জায়গায় বলেছেন, তিনি অনীল কুমার গুপ্ত নামের ‘র'-এর এক জয়েন্ট সেক্রেটারির অধীনে কাজ করছিলেন৷ অথচ জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে তো নয়ই, এমনকি ‘র'-এর কোনো উচ্চ পদেই নাকি অনীল কুমার গুপ্ত নামের কেউ নেই৷ কুলভূষণ ভিডিওতে বলেছেন, তিনি ‘র'-তে যোগ দিয়েছেন ২০১৩ সালে, অথচ তিনি নাকি ইরানের চাবাহারে ‘বেইস' খুলে কাজ শুরু করেছেন ১০ বছর আগে৷ কুলভূষণ ভারতের নৌ-বাহিনীতে যোগদান এবং সম্ভাব্য অবসরের যে সময় উল্লেখ করেছেন তাতেও হিসেবের গড়মিল ধরা পড়েছে৷ এসব অসংগতির কারণেই ভারত মনে করে ভিডিওচিত্রে কুলভূষণ যা যা বলেছেন তা তাঁকে দিয়ে জোর করে বলানো হয়েছে৷ ভারতের সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ থেকেও উঠে আসছে এমন ইঙ্গিত৷

প্রিয় পাঠক, এই ‘গোয়েন্দা আটকের’ ঘটনা কি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলবে? নীচে আপনার মতামত জানান৷

এসিবি/ডিজি (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য