ভারতীয় শিল্পকলার কদর বাড়ছে ইউরোপ জুড়ে
৯ অক্টোবর ২০০৯সুবোধ গুপ্ত৷ ১৯৯৭ সালে তিনি জার্মানিতে প্রথম আসেন৷ পিটার ন্যাগি নামের একটি শিল্প এজেন্সি নিয়ে আসে তাঁকে৷ সুবোধের শিল্পকর্ম ভাস্কর্য৷ গত বারো বছরে তাঁর কাজের কদর এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে এখন এই শিল্পীর একেকটি ভাস্কর্য বিক্রি হয় কয়েক লক্ষ ইউরোতে৷ এই তো কদিন আগেই ভেনিসের ইতিহাসখ্যাত পালাজ্জো গ্রাসিতে সুবোধ গুপ্তের ভাস্কর্যের প্রদর্শনী হল৷ সেখানে অ্যালুমিনিয়ামের প্যান আর পট দিয়ে তৈরি তাঁর ‘হাংরি গড' নামের ভাস্কর্যটি উচ্চ প্রশংসিতও হয়েছে৷
আসলে ভারতীয় শিল্পের বাজারটার যদি কোন ঘাঁটি বলতে হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই বার্লিন৷ বার্লিনের একাধিক এজেন্সি এখন ভারতীয় শিল্পকর্মের মধ্যে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা খুঁজে পেয়েছে৷ বেশকিছু ভারতীয় শিল্পী নিয়মিত যাতায়াত করছেন এদেশ ওদেশ৷ তাঁদের কাজ প্রশংসিত যেমন হচ্ছে, বিক্রিও হচ্ছে সহজে৷ শিল্পকলার বোদ্ধারাও স্বীকার করছেন যে ভারতীয় শিল্পীদের সৃজনশীলতা যথেষ্ট ‘কুল'৷
পরীক্ষানিরীক্ষার কাজে ভারতীয় শিল্পীরা বেশ অগ্রণী৷ একথা মেনে নিচ্ছেন জার্মান শিল্পবোদ্ধারা৷ একই কথা বলছে বিভিন্ন এজেন্সিগুলিও৷ যেমন ধরা যাক শিল্পী ভিবেক শর্মার কথাই৷ ৪১ বছরের ভিবেক ফোটোগ্রাফি থেকে ছবি তৈরি করেন৷ এক নতুন এবং অন্যজাতের মিডিয়ায় তাঁর বিচরণ৷ ভিবেকের একটা সাম্প্রতিক কাজ, যাতে হিন্দুদের হাতির মত মাথাওলা দেবতা গণেশের পাশে তিনি নিজে রয়েছেন, সেরকম একটা শিল্পকর্ম বেশ জনপ্রিয় হয়েছে জার্মানিতে৷ মুম্বইয়ের যুবক ভিবেক এখন থাকেন জার্মানির স্যাক্সনিতে৷ তাঁর কাজের নতুনত্ব দারুণভাবে প্রশংসিত৷
জার্মানি সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে শিল্পকলার ট্রেন্ড ঘুরে যাচ্ছে এশিয়া অভিমুখে৷ আর্থিক মন্দার এই দুর্দিনে এ অবশ্যই শিল্পীদের জন্য সুখবর৷ তাই নয় কী ?
প্রতিবেদন - সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা - হোসাইন আব্দুল হাই