ভারতে আসছেন বাইডেনের দূত ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ এপ্রিল ২০২২খুব সম্ভবত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে আসবেন মার্কিন ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার দলীপ সিং। তিনি আন্তর্জাতিক অর্থনীতির বিষয়টি দেখেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এখন চীনে। সেখান থেকে দুই দিনের সফরে তিনি ভারতে আসছেন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ''তার ভারতে আসার কারণ হলো, ইউক্রেনে রাশিয়ার অন্যায্য হামলার পর ইন্দো-প্যাসিফিক ইকনমিক ফ্রেমওয়ার্ক-এর বিষয়ে আলোচনা করা।''
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও দিল্লি আসছেন। দলীপ যখন থাকবেন, সম্ভবত সেসময়ই লাভরভ দিল্লি পৌঁছে যাবেন।
দলীপ সিংয়ের সফর
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে দলীপ ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বাইডেন প্রশাসনের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলি ভারতকে জানাবেন। ইন্দো-প্যাসিফিক ইকনমিক ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে কথা বলবেন। সেই সঙ্গে তিনি ভারত-মার্কিন আর্থিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করবেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেছেন, আগামী মাসে ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের দুই প্লাস দুই বৈঠক হবে। তার প্রস্তুতি নিয়েও দলীপ কথা বলবেন। ব্লিংকেন ও লয়েড অস্টিনের সঙ্গে কথা বলতে জয়শঙ্কর ও রাজনাথ সিং ওয়াশিংটন যাবেন।
তবে সূত্র জানাচ্ছে, তার ভারত সফরের প্রধান উদ্দেশ্য হবে ইউক্রেন সংকট নিয়ে আলোচনা করা। এখনো পর্যন্ত জাতিসংঘে ভারত একবারের জন্যও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি। বাইডেন সম্প্রতি ভারতের অবস্থানকে নড়বড়ে বলেছেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে অ্যামেরিকা ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইবে, এটা স্বাভাবিক।
রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সফর
চলতি সপ্তাহেই রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভের দিল্লি আসার কথা। তিনিও চীন থেকেই ভারতে আসবেন। বৃহস্পতিবার ভারতে আসতে পারেন যুক্তরাজ্যের ফরেন সেক্রেটারি লিজ ট্রুস।
আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক বুধবার চীনে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও এই বৈঠক চলবে। লাভরভ সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। তারপর তার ভারতে আসার কথা। আগামী ১ এপ্রিল তিনি জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
সূত্র জানাচ্ছে, রাশিয়ার কাছে এখন ভারতকে পাশে পাওয়া খুবই জরুরি। কারণ, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একের পর এক দেশ রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারা জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। ফলে রাশিয়া বেশ কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ভারত এখনো পর্যন্ত একবারের জন্যও ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়ার নিন্দা করেনি। জাতিসংঘেও তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি। তারা ভোটদানে বিরত থেকেছে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই, হিন্দুস্তান টাইমস)