জার্মান উৎসব
২৩ জানুয়ারি ২০১২২০ থেকে ৩০শে জানুয়ারি পর্যন্ত মুম্বই, নতুন দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা ও বেঙ্গালুরু শহরের দর্শকরা আল্লাহরাখা রহমানের সৃষ্টির স্বাদ নিচ্ছেন৷ তবে সুরস্রষ্টা নিজে নন, তাঁর সংগীতকে নিজস্ব মোড়কে তুলে ধরছে জার্মানির বিখ্যাত ফিল্ম অর্কেস্ট্রা ‘বাবেল্সব্যার্গ'৷ রবিবার নতুন দিল্লিতে দর্শকরা শুনতে পেলেন ‘বম্বে', ‘রোজা' ও ‘স্বদেশ' ছবির সংগীত৷ পরিচিত সেই সুর নতুন রূপে ফুটে উঠলো জার্মান অর্কেস্ট্রার একশোরও বেশি বাদকের হাতে৷ এই প্রথম এত বড়ো কোনো ফিল্ম অর্কেস্ট্রা ভারতের মাটিতেই রহমানের সুরসৃষ্টি পরিবেশনা করছে৷ তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে রহমানেরই নিজস্ব কেএম কনজারভেটারি সংগীত গোষ্ঠী৷
রবিবার রাতে নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠানের পর দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো৷ রহমান স্বয়ং মঞ্চে কোনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন নি বটে, কিন্তু তাঁর ভাষণের সময়ই মানুষ বিপুল উৎসাহ দেখায়৷ তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে সকলে দাঁড়িয়ে ওঠেন৷ জার্মানির ফিল্ম অর্কেস্ট্রা ‘বাবেল্সব্যার্গ'এর বিশেষ প্রশংসা করেন রহমান৷ তিনি বলেন, ‘‘তাদের পারফরমেন্স দেখার সময় প্রতিবার আমি ভুলে যাই, আমি কোথায় আছি৷ ভুলে যাই আমিই সেই সংগীত সৃষ্টি দিয়েছি৷ আমি কীভাবে সুর সৃষ্টি করি, সবাই হয়তো তা জানেন না৷ স্টুডিওর মধ্যে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একা বসে থাকি আমি ৷'' ‘বাবেল্সব্যার্গ'এর এই উদ্যোগের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রহমান৷ তাঁর মতে, ভারতের সংগীতপ্রেমীদের জন্য এটা একটা সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা৷ ‘বাবেল্সব্যার্গ'এর প্রধান ক্লাউস পেটার বায়ার'ও রহমানের প্রশংসার ক্ষেত্রে কার্পণ্য করেন নি৷ তিনি বলেন, ‘‘রহমান শুধু একটি ছবির আবহ সংগীত রচনা করেন না, তিনি গোটা দেশের জন্য আবহ সংগীত সৃষ্টি করেন৷ গোটা দেশ ও তার মানুষের মধ্যে যে সৌন্দর্য ও বিশেষত্ব রয়েছে, তিনি তার বর্ণনা দেন৷
ভারত ও জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ বছর উপলক্ষ্যে ভারতে চলছে জার্মান উৎসব৷ ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রায় এক বছর ধরে ভারতের বিভিন্ন শহরে তুলে ধরা হচ্ছে নানা স্বাদের অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, আলোচনাসভা ইত্যাদি৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক