ভারতে তিন ধাপে উঠছে লকডাউন
১ জুন ২০২০করোনার প্রকোপ আরও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৩৯২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার বিশ্ব মানচিত্রে আক্রান্তের সংখ্যার হিসাবে ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে সাত নম্বর স্থানে উঠে এসেছে ভারত। তারপরও লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে আগামী সোমবার, ৮ জুন থেকে।
বস্তুত, এখন লাল এলাকা, মানে যেখানে এখনও অনেকে করোনায় আক্রান্ত., তার বাইরে লকডাউনের কড়াকড়ি অনেকটাই কম। লাল এলাকায় লকডাউন আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত থাকবে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত আগামী ৮ জুন থেকে মন্দির, মসজিদ, গির্জার মতো ধর্মস্থান খুলে যাবে। তবে ধর্মীয় উৎসব করা যাবে না। কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য এই সোমবার থেকেই ধর্মস্থান খুলে যাচ্ছে। সারা দেশে হোটেল, রেস্তোরাঁও খুলে যাবে আগামী সোমবার থেকে। খুলবে শপিং মল। অফিস আগে থেকেই খুলেছে। এখন প্রতিদিন ২০০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাবে রেলমন্ত্রক। দেশের ভিতরে বিমান পরিষেবা চালু থাকবে। আপাতত রাত নয়টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কার্ফু চালু থাকবে। এটা হলো লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রথম পর্যায়।
এরপর শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়। সেখানে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিং সেন্টার খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে তার আগে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কথা বলবে মোদী সরকার। আবার রাজ্য সরকারগুলি স্কুল, কলেজ কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলবে। তারপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে সেই ঘোষণা হবে সম্ভবত জুলাইতে। ফলে ৩০ জুন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা।
লকডাউন তোলার তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ে গিয়ে খুলবে মেট্রো রেল, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল, সিনেমা হল, জিম, সুইমিং পুল, এন্টারটেনমেন্ট পার্ক, থিয়েটার, বার, অডিটোরিয়াম। তুলে নেওয়া হবে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি দেখে ঠিক করা হবে, কবে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা উঠবে।
যেসব এলাকায় এখনও করোনার প্রকোপ বেশি, সেই লাল এলাকায় আগের মতোই কঠোরভাবে লকডাউন চালু থাকবে। সেখানে কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না, কাউকে বেরোতেও দেয়া হবে না। তবে লাল এলাকাগুলি আয়তনে খুব বড় নয়, কোথাও একটা অ্যাপার্টমেন্ট, কোথায় একটা গলি বা দুটো গলি, কোথায় একটা ছোট এলাকাকে রেড জোন করা হয়েছে। দিল্লিতে এখন এই রকম ১২২টি লাল এলাকা আছে। রাজধানীতে রোজই ছয় হাজারের বেশি লোক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। মুম্বইয়ের অবস্থা আরো খারাপ। তা সত্ত্বেও সেখানে ১০ শতাংশ কর্মীকে নিয়ে অফিস খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বলিউডেও সিনেমা ও সিরিয়ালের শুটিং চালু হয়েছে।
জিএইচ/এসিবি (পিটিআই, এএনআই)