1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৪ মাওবাদী নিহত

২১ জানুয়ারি ২০২৫

নিহতদের মধ্যে আছেন মাওবাদীদের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য চলপতি, যার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা।

https://p.dw.com/p/4pPuu
মাওবাদীদের প্রশিক্ষণের ফাইল ছবি।
ছত্তিশগড় ও ওড়িশার সীমানায় জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৪জন মাওবাদী নিহত। ছবি: picture-alliance/AP Photo/M Quraishi

সোমবার রাতে ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের সীমানায় জঙ্গলের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের ‘এনকাউন্টার' হয়।

সেখানেই জয়রাম রেড্ডি বা চলপতিসহ ১৪ জন মাওবাদী মারা যায়। চলপতির বয়স ছিল ৬০-এর মতো। অন্ধ্রপ্রদেশের এই মাওবাদী নেতা ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হামলার কৌশল ঠিক করতেন। তার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। তাকে দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনী খুঁজছিল।

সোমবার রাতে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড , সিআরপিএফ এবং ছত্তিশগড়ের বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী কোবরা এবং ওড়িশার স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ এই অপারেশনে অংশ নেয়। তাদের কাছে আগে থেকে খবর ছিল, মাওবাদীরা ওড়িশা-ছত্তিশগড় সীমান্তের কাছে জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে।

এনকাউন্টারের পর প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক, গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। এখন ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। 

কে এই চলপতি?

চলপতি আদতে অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরের বাসিন্দা। কিন্তু তার কর্মক্ষেত্র ছিল ছত্তিশগড়ের বাস্তার এলাকার অবুঝমাড়ের জঙ্গল।

কিন্তু অবুঝমাড়ে সম্প্রতি তাদের তৎপরতা অনেকটাই বাড়িয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাই চলপতি তার আগের জায়গা ছেড়ে ছত্তিশগড়-ওড়িশা সীমান্তের কাছে চলে আসে।

চলপতি মূলত মাওবাদীদের আক্রমণ-কৌশল তৈরি করতেন। তাকে ঘিরে থাকতো আট থেকে দশজন সশস্ত্র মাওবাদী।

চলপতি বর্তমানে মাওবাদীদের মধ্যে খুব বড় নেতা বলে পরিচিত।  তাই চলপতির মৃত্যুকে বড় সাফল্য বলে মনে করছে নিরাপত্তা বাহিনী।

মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চলে

পুলিশের বক্তব্য

গারিয়াবন্দ জেলার এসপি নিখিল রাখেছা নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, সোমবার রাত থেকে এনকাউন্টার শুরু হয়। তাদের কাছে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য ছিল, মাওবাদীরা ওই এলাকায় এসেছে। তারপরই যৌথ অভিযান শুরু হয়।

মাওবাদীদের গুলিতে একজন কোবরা জওয়ান আহত হন। তাকে হেলিকপ্টারে করে রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

২০২৪ সালে ছত্তিশগড়ে ২১৯ জন মাওবাদী নিহত

২০২৪ সালে ছত্তিশগড়ে মোট ২১৯ জন মাওবাদী নিরাপত্তা রক্ষীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। তার মধ্যে ২১৭ জনই বস্তারে ‘এনকাউন্টারে' নিহত হয়েছে। বস্তার এলাকার মধ্যে পড়ে বস্তার, দান্তেওয়াড়া, কাঁকের, বিজাপুর,নয়নপুর, কোন্দাগাঁও ও সুকমা জেলা।

২০২৪ সালে মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে ১৮ জন নিরাপত্তাকর্মী মারা গেছেন এবং মাওবাদীদের হাতে ৬৫ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে।

এছাড়া ৯৯২ জন মাওবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৮৩৭জন আত্মসমর্পণ করেছে

ভারতের মাওবাদী অঞ্চলে স্কুল যেমন চলছে

অমিত শাহর বক্তব্য

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, সোমবারের ঘটনা মাওবাদীদের উপর আরেকটি বড় আঘাত। এর আগেই অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ২০২৬ সলের মার্চের মধ্যে ভারতকে মাওবাদী-শূন্য করা হবে। 

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ অমিত শাহ লিখেছেন, ''নকশাল-মুক্ত ভারত গড়ার পথে নিরাপত্তা বাহিনী বড় সাফল্য পেলো। সিআরপিএফ, ওড়িশার এসওজি এবং ছত্তিশগড়ের পুলিশের যৌথ অভিযানে ১৪ জন নকশালপন্থির মৃত্যু হয়েছে।''

ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই বলেছেন, ''নিরাপত্তা বাহিনী টানা সাফল্য পাচ্ছে। জওয়ানদের সাফল্য তারিফ করার মতো। তারা লক্ষ্যের দিকে দ্রুত এগোচ্ছে।''

জিএইচ/এসিবি (পিটিআই, এএনআই)