ভারতে পরমাণু কেন্দ্র
২ মার্চ ২০১২তামিলনাড়ুর কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষদের আন্দোলনে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যে মদৎ দিচ্ছে, তার পেছনে আছে ইউরোপ-অ্যামেরিকার মত দেশের হাত, প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব আর.কে সিং বলেছেন, কুড়ানকুলামে সক্রিয় চারটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে এই অভিযোগে যে, তারা বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অর্থ আন্দোলনের সমর্থনে খরচ করছে৷
তুতিকোরিন ডায়সেশান অ্যাসোশিয়েশন এবং তুতিকোরিন মাল্টি-পারপাস সোসাল সার্ভিস সোসাইটির মুখপাত্র ফাদার উইলিয়াম সান্থারাম বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে অভিযোগে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আটক করেছে তা সত্য নয়৷ তারা আন্দোলনকারীদের স্রেফ নৈতিক সমর্থন দিয়েছে যেহেতু আন্দোলনকারীদের মধ্যে আছে কিছু মৎসজীবী যাঁরা খৃস্টান৷ প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিবাদে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে৷
ঐ দুটি এনজিও বিদেশি অর্থ সাহায্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ম অনুসারে যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে, তাতে দেখানো হয় যে, গত পাঁচ বছরে তারা বিদেশি সাহায্য পেয়েছে ৬৫ কোটি টাকা৷ বেশির ভাগটা দিয়েছে ফ্রান্স৷ ঐ অর্থ ব্যয় করা হয়, যাজক, প্রচারক ও স্থানীয় মানুষজনদের সামাজিক কল্যাণে৷
এই ইস্যু নিয়ে সরকারকে এক হাত নিতে ছাড়েনি বিরোধী বিজেপি৷ প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৈফিয়ৎ দাবি করে বলেছে, ঐসব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সমাজ কল্যানের নামে ধর্মীয় রুপান্তর এবং দেশের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত৷ এদের বিরুদ্ধে সরকার কেন কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছেনা৷
জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু বিপর্যয়ের পর কুড়ানকুলাম পরমাণু কেন্দ্রের সুরক্ষা নিয়ে আন্দোলন সম্পর্কে সরকার ও পর্যবেক্ষকদের সন্দেহ, ভারতের বিদ্যুত চাহিদা পূরণে এবং আর্থিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করাই এর উদ্দেশ্য৷ কুডানকুলামে রাশিয়ার রিয়েক্টর সফল না হতে দেবার এক অপচেষ্টা৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ