মুঠোফোন আত্মরক্ষার অস্ত্র!
২৩ জুন ২০১২পুলিশের পরিসংখ্যান বলে, ভারতে প্রতি চতুর্থ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে নতুন দিল্লিতে৷ অথচ ভারতের রাজধানীতে মহিলাদের এই নিদারুণ নিরাপত্তার অভাবের প্রতি সরকারি-বেসরকারি প্রতিক্রিয়া হল ব্লেম-গেম, উদাসীনতা এবং সরাসরি অস্বীকার করা, বলেন ‘ফাইট ব্যাক অ্যাপ'-এর এক স্রষ্টা শ্বেতা পুনি৷ কিন্তু তিনি এবং তাঁর সহ-স্রষ্টা হিন্দোল সেনগুপ্ত প্রযুক্তিতে বিশ্বাস করেন৷ দু'জনেই ত্রিশের কোঠায় পা দিয়েছেন, দু'জনেই সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন এবং দু'জনেই নতুন দিল্লিতে বড় হয়েছেন৷ মহিলাদের বিরুদ্ধে দৈনন্দিন সহিংসতাকে দৃষ্টিগোচর করার জন্যই তারা ফাইট ব্যাক অ্যাপটি সৃষ্টি করেছেন৷
ধারণাটা খুবই সহজ: জিপিএস ট্র্যাকিং'এর মাধ্যমে মহিলারা সংকেত পাঠাতে পারেন যে তারা বিপদে পড়েছেন৷ সন্ধ্যাবেলায় বাড়ি ছেড়ে বেরনোর সময়েই মহিলারা যদি অ্যাপটিকে সক্রিয় করেন, তাহলে জিপিএস ট্র্যাকার প্রতি মুহূর্তে খোঁজ রাখবে, মহিলা ঠিক কোথায় আছেন৷ হিন্দোল সেনগুপ্ত ডয়চে ভেলে'কে বলেন, ‘‘যদি কখনো মনে হয় আপনি বিপদে পড়ছেন, তাহলে কার্সরটি নিয়ে একটি বাটন টিপলেই হল৷ পাঁচ মিনিটের মধ্যে আপনার পরিবার এবং বন্ধুমহলের পূর্ব-নির্দ্দিষ্ট পাঁচজনের কাছে অ্যালার্ট পৌঁছে যাবে, ই-মেল'এর মাধ্যমে৷ এছাড়া আপনার ফেসবুক পাতাতেও আপডেট হয়ে যাবে যে, আপনার সাহায্য প্রয়োজন এবং সেটা ঠিক কোথায়৷''
মজার কথা, ছ'মাসের বেশি সময় ধরে অ্যাপটি বাজারে আছে৷ পুনি এবং সেনগুপ্তর ‘হোয়াইপোল' ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যায়৷ খরচ বছরে মাত্র ১০০ ভারতীয় রুপি৷ অথচ এ যাবৎ মাত্র কয়েক শত মহিলা তা ব্যবহার করছেন৷ এর কারণ, প্রযুক্তিটা খুব সহজ নয়, বলে স্রষ্টাদের ধারণা৷ তাই তারা ফাইট ব্যাক'এর একটি সরলতর সংস্করণ নিয়ে কাজ করছেন, যা সাধারণ মুঠোফোনেও ব্যবহার করা চলবে৷
প্রতিবেদন: সান্ড্রা পেটার্সমান / এএসসি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ