মুসলিম হত্যার পর সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ
৭ এপ্রিল ২০১৭রাজস্থান, ঝারখন্ড, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের সরকারকে এই নোটিশ দেয়া হয়েছে৷
‘গো-রক্ষক' নামে পরিচিত গরু রক্ষাকারী গোষ্ঠীগুলোর হাতে কয়েকজন মুসলমান নিহত হওয়ার পর কংগ্রেস নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালার দায়ের করা পিটিশনের প্রেক্ষিতে এই নোটিশ জারি করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতের অন্যতম শীর্ষ দৈনিক ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া'৷
পিটিশনে পুনাওয়ালা বলেন, এই গোষ্ঠীগুলো ‘সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে'৷ ফলে ‘স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া' বা এসইএমই'র মতো গো-রক্ষকদেরও নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তিনি৷ উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে গঠিত এসইএমইকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷
পুনাওয়ালা পিটিশনে আরও বলেছেন, ‘‘দুর্ভাগ্য যে, গরু রক্ষাকারী গোষ্ঠীগুলো গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তা বা পুরস্কার পেয়ে থাকে এবং এভাবে তারা বৈধতা পেয়ে আসছে৷''
সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ জারির বিষয়টি টুইটারে শেয়ার করেছেন পুনাওয়ালা৷
পিটিশনে পুনাওয়ালা গরু জবাই কিংবা চোরাচালান সংক্রান্ত ১০টি সহিংস ঘটনার উল্লেখ করেন৷ এর মধ্যে একটি গত শনিবার রাজস্থানে গরু পরিবহনের সময় চালানো হামলা৷ ঐ ঘটনায় গুরুতর আহত ৫৫ বছরের মুসলমান কৃষক পেহলু খান সোমবার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন৷
উল্লেখ্য, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গরু জবাই করা নিষিদ্ধ৷ এছাড়া গরু রক্ষার কথা বলে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাহারায় বসেছে বেশ কিছু মানুষ, যাদের সংখ্যা ২০১৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় আসার পর অনেক বেড়েছে৷
গরুর মাংস খাওয়ার বা গরু চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে ভারতে হিন্দুদের হামলায় গত দু'বছরে অন্তত দশজন মুসলমান প্রাণ হারিয়েছেন৷ ২০১৫ সালে এক মুসলমান গরু জবাই করেছেন এই সন্দেহে স্থানীয় হিন্দুদের একটি উগ্র অংশ তাঁকে মেরে ফেলে৷ যদিও পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, সেই মুসলমান বাড়িতে ছিল খাসির মাংস৷
জেডএইচ/এসিবি (টাইমস অফ ইন্ডিয়া, এএফপি)