ভারতে যেভাবে পালিত হলো সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান
১৬ ডিসেম্বর ২০২১দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ১৯৭১-এর যুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এই বিজয় দিবস পালনের অঙ্গ হিসাবে চারটি বিজয় দিবস টর্চ বা জ্যোতি দেশের সর্বত্র পাঠানো হয়েছিল। সেই টর্চ আবার ফিরে এসেছে দিল্লিতে। চারটি টর্চের আগুন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী তা মিশিয়ে দেন যুদ্ধ স্মারকের অমর জওয়ান জ্যোতিতে।
এর আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে মোদী স্মারকে ফুল দেন। সেনার বিউগল বাজে। নীরবতা পালিত হয়।
মোদী টুইট করে বলেছেন, ''৫০তম বিজয় দিবসে আমি মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও ভারতীয় সেনার আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমরা একসঙ্গে লড়াই করে দমনকারী শক্তিকে হারিয়েছি। ঢাকায় রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি প্রতিটি ভারতীয়ের কাছে বিশেষ তাৎপর্যবাহী।''
রাজনাথ সিং ও সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এদিন ১৯৭১-এর যুদ্ধের কিছু ছবিও টুইট করা হয়েছে।
কংগ্রেসের আলাদা অনুষ্ঠান
কংগ্রেসের তরফ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ১৯৭১-এর যুদ্ধের ৫০ বছর উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সেই অনুষ্ঠান ছিল বুধবার রাতে। সেখানে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, ''৫০ বছর আগে বাংলাদেশের সাহসী ও মহান মানুষরা নিজেদের নতুন ভবিষ্যতের সূচনা করেছিলেন। ভারত তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তারা শুধু এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল তাই নয়, তারা আন্তর্জাতিক জনমত সংগঠিত করেছে, বিভিন্ন মঞ্চে তারা সোচ্চার হয়েছে এবং যখন আক্রান্ত হয়েছে, তখন সফল সামরিক অভিযানও করেছে।''
সোনিয়া বলেছেন, ''সেই সময় বাংলাদেশের পাশে যারা দাঁড়িয়েছিল, তাদের মধ্যে ভারত অন্যতম। ভারতের সেনার শৌর্য, ত্যাগ ও পরাক্রম ছিল অসাধারণ। আমরা সেনাকে স্যালুট করছি।''
সোনিয়া বলেছেন, ''কয়েকজন মানুষের অবদান ভোলা যাবে না। আজ আমরা গর্বের সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধীকে স্মরণ করছি।'' এরপর ইন্দিরা কীভাবে কাজ করেছিলেন তা বলেন সোনিয়া। কংগ্রেস সভানেত্রীর বক্তব্য, ''আজ বাংলাদেশের জনগণকে আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি। তারা অনেক উন্নতি করেছে। তারা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের এই সাফল্য অসাধারণ।'' সোনিয়ার মতে, ''এই বিজয় আসলে বাংলাদেশের মানুষের দৃঢ়তার জয় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতের মানুষের জয়।''
কংগ্রেস প্রতিটি রাজ্যে এই সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান পালন করছে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, সোনিয়া গান্ধীর ভাষণ)