ভারতের এই সব পশুদের দাম ও গুণ কল্পনাতীত

হরিয়ানার পশু পালক কর্মবীর সিংয়ের এই মহিষটির ওজন ১৫০০ কেজি৷ ১০.৬ ফুট লম্বা আর ৫.৯ ফুট চওড়া এটি৷ এর খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ২০ কেজি দুধ, ১০ কেজি আপেল, ২০ কেজি অন্যান্য শস্য এবং শুকনো ফল থাকে৷ প্রসিদ্ধ ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের নাম অনুসারে তার নাম রাখা হয়েছে৷ ১৭ বার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সেরা গরুর পুরস্কার জিতেছে যুবরাজ৷

যুবরাজের জন্য ক্রেতা সাড়ে ৯ কোটি রূপি দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাতেও রাজি হননি মালিক কর্মবীর সিং৷ তিনি বলেন, যুবরাজের জন্যই বিশ্বব্যাপী তিনি পরিচিতি পেয়েছেন৷ তাই তিনি ওকে বেঁচতে চান না৷ যুবরাজের বীর্যের কারণে এবং তাকে প্রদর্শনীর মাধ্যমে বছরে কোটি রুপি উপার্জন হয় বলে জানান কর্মবীর৷

রাজস্থানের হনুমানগড়ে গেলে আপনি কোহিনূরের দেখা পেতে পারেন৷ না হীরের নয়, ঘোড়ার৷ এটির জন্য এক ক্রেতা সোয়া কোটি রুপি দিতে চেয়েছিলেন৷ তারপরও মালিক একে বিক্রি করেনি৷ সব ঘোড়সওয়ারদের ভীষণ পছন্দ কোহিনূর৷ প্রতিদিন এটি এক গ্লাস দেশি খাঁটি ঘি, শুকনো ফল এবং শস্য দানা খেয়ে থাকে৷ প্রতিদিন তেল দিয়ে এর শরীরে মালিশ করা হয়৷ দু’বার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে কোহিনূর৷

ভারতের ইদানীং উটের সংখ্যা কমে যাওয়ায় তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ রাজস্থানে একে বলা হয় রাজ্য পশু৷ সম্প্রতি উট জবাই বা মেরে ফেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ আর উটের পরিবহণ নিয়ন্ত্রণের উপর নির্দেশ জারি করা হয়েছে৷

উটের দুধ হৃদরোগ এবং অ্যালার্জির জন্য অমৃতের সমান বলে মনে করা হয়৷ ক্যামেল মিল্ক আর ক্যামেল আইসক্রিম এখন জনপ্রিয় হচ্ছে৷

যোধপুরে উট পালক শ্রবণ রামজী তার উটদের সাজ সজ্জার ব্যাপারে ভীষণ খেয়াল রাখেন৷ তাই উটেদের জন্য সব সময় হেয়ার ড্রেসার নিয়ে ঘোরেন৷

কালো রঙের মোরগ অত্যন্ত সুস্বাদু বলে ধারণা করা হয়৷ বলা হয়ে থাকে অন্য মোরগদের তুলনায় এদের মাংসে প্রোটিন বা আমিষের পরিমাণ বেশি৷ জরুরি অ্যামিনো অ্যাসিড আছে, আর কোলেস্টরেলের মাত্রা অনেক কম৷ আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে এই ধরনের কালো মোরগের বেশ সম্মান৷

রাজস্থানের মুরগি গুলো অ্ন্য দেশি মুরগির তুলনায় বেশ ওজন সমৃদ্ধ৷ ডিমও দেয় চারগুণ বেশি৷