1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের ভাষায় কথা বলছেন ট্রাম্প, অভিযোগ পাকিস্তানের

৫ জানুয়ারি ২০১৮

বছরের প্রথম টুইটেই সতর্ক করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এবার তা কার্যকর হলো৷ যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, সামরিক খাতে পাকিস্তানকে আপাতত আর সহায়তা করা হবে না৷

https://p.dw.com/p/2qOaA
ফাইল ছবিছবি: Reuters/C. Barria

পাকিস্তানকে সামরিক খাতে ২৫৫ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিতো যুক্তরাষ্ট্র৷ মার্কিন সামরিক অস্ত্রও পেত পাকিস্তান৷ নতুন নীতি অনুযায়ী এর কোনো কিছুই আর পাবে না ইসলামাবাদ৷ বৃহস্পতিবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট হোয়াইট হাউসের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে৷

বছরের প্রথম দিন ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছিলেন, প্রতি বছর পাকিস্তানকে লক্ষ লক্ষ ডলার সাহায্য দেয় অ্যামেরিকা৷ কিন্তু তার বিনিময়ে পাকিস্তান কেবল অসত্যই ফেরত দেয় অ্যামেরিকাকে৷

বস্তুত, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার উপর তালেবান এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের লাগাতার হামলার দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন ট্রাম্প৷ অভিযোগ, বারংবার বলা সত্ত্বেও হাক্কানি নেটওয়ার্ক এবং তালেবানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তান৷ বরং জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে বাড়তে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে

দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঠিক এই অভিযোগই করে আসছে ভারত৷ বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অশান্তি সৃষ্টির জন্য আফগান তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করে পাকিস্তান৷ কিছুদিন আগে জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তানকে ‘জঙ্গি তৈরির কারখানা' বলেও অভিহিত করেছিলেন৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও অ্যামেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষার প্রক্রিয়া চালিয়ে গিয়েছিলেন৷ রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকার অবস্থানকে নিজেদের জয় হিসেবেই বিবেচনা করবে ভারত৷

Pakistan Soldaten in Tatta Pani
ভারতের সীমান্তের কাছে জড়ো হওয়া পাকিস্তানি সেনাসদস্যরাছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Naveed

পাকিস্তানের আপত্তির জায়গাও ঠিক সেখানেই৷ উপমহাদেশে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে বরাবরই মধ্যস্থতা করেছে অ্যামেরিকা৷ দু'দেশের মধ্যে শক্তি ভারসাম্য রক্ষার প্রক্রিয়া চালিয়ে গেছে৷ ওবামা সরকারও দু'দেশের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে নীতি প্রণয়ন করেছে৷ ট্রাম্পের নয়া ঘোষণার পর অনেকেই মনে করছেন, শক্তি ভারসাম্য অনেকটাই ভারতের দিকে ঝুঁকে পড়ল৷ পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী খাজা আসিফও ঠিক সেই কথাই বলেছেন৷ তাঁর মতে, ভারতের সুরেই কথা বলছে অ্যামেরিকা৷

১ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটের পরেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল পাকিস্তান৷ ইসলামাবাদ ডেকে পাঠিয়েছিল মার্কিন দূতকে৷ যদিও বৈঠকে কী কথা হয়েছে সে বিষয়ে তখন মুখ খুলতে চাননি মার্কিন দূত৷

এখন দেখার অ্যামেরিকা ‘এইড' বন্ধ করে দেওয়ার পর ইসলামাবাদ কোন কূটনৈতিক কৌশল অবলম্বন করে৷

এসজি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)