1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের সাহায্যে ঢাকায় ফিল্ম সিটি

গৌতম হোড় নতুন দিল্লি
১৪ জানুয়ারি ২০২০

সিএএ-বিতর্কের জেরে বাংলাদেশের তিনজন মন্ত্রী পরপর ভারত সফর বাতিল করেছিলেন৷ তারপর মঙ্গলবার আবার ভারত ও বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হলো৷

https://p.dw.com/p/3WAlm
ছবি: Getty Images/G. Crouch

ভারতের সাহায্যে গড়ে উঠবে ঢাকার ফিল্ম সিটি৷ ভারতে একাধিক ফিল্ম সিটি থাকলেও বাংলাদেশে এই প্রথম ফিল্ম সিটি হবে৷  ভারত ও বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে৷  ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের সঙ্গে মঙ্গলবার আলোচনায় বসেছিলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ৷ সেই আলোচনায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে৷  তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল, ঢাকায় ফিল্ম সিটি তৈরিতে ভারতের সাহায্যের বিষয়টি৷

বৈঠকের পর হাসান বলেন, ''আমরা ভারতের কাছে ফিল্ম সিটি তৈরির জন্য সাহায্য চেয়েছিলাম৷ কারণ, ভারতের এ ব্যাপারে বিপুল অভিজ্ঞতা আছে৷ ভারতই এখন বিশ্বের সব চেয়ে বড় সিনেমা প্রস্তুতকারক দেশ৷ সে জন্যই তাঁদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছি৷'' আর প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, ''ফিল্ম সিটি করা নিয়ে কথা হয়েছে৷ দু'দেশের মধ্যে চলচ্চিত্রের ও সরকারি টিভির অনুষ্ঠান আদানপ্রদান নিয়ে কথা হয়েছে৷  আমরা বাংলাদেশে ফিল্ম সিটি করার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি৷''

সূত্র জানিয়েছে, ফিল্ম সিটি নিয়ে আলোচনার জন্য ভারত অবিলম্বে বাংলাদেশকে একটা প্রতিনিধদল পাঠাতে বলেছে৷ তারা এসে মুম্বই ও হায়দরাবাদে ফিল্ম সিটি দেখবে৷ তারপর কী ধরনের সাহায্য চাই, কোন ধরনের প্রযুক্তি তারা আশা করছে, সে বিষয়ে জানাবে৷ ভারত সে ভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে৷

হাসান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর শতবর্যে তাঁর ওপর সিনেমা নিয়ে সমঝেোতা চুক্তি হয়েছে৷ প্রকাশ জানিয়েছেন, শ্যাম বেনেগাল সিনেমাটি তৈরি করবেন এবং সঠিক সময়ে তা তৈরি হয়ে যাবে৷ বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উদযাপন উৎসবের মধ্যে সিনেমাটি মুক্তি পাবে৷

সিএএ-বিতর্ক সামনে আসার পর বাংলাদেশের তিনজন মন্ত্রীরসফর বাতিল হয়েছে৷ তারপর হাসাম মাহমুদের ভারত সফর হল, মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা হল৷ তাই এই সফরের গুরুত্ব আলাদা৷ প্রবীণ সাংবাদিক সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই বলেনি যে, এনআরসি ও সিএএ-র জেরে সফর বাতিল হয়েছে৷ কিন্তু সফর বাতিলের আসল কারণ এটাই৷ এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষোভ ও আশঙ্কা আছে৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা যে আবার শুরু হল, সেটা নিঃসন্দেহে সুখের ও স্বস্তির বিষয়৷

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর ওএসডি সত্যনারায়ণন ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, বাংলাদেশ হল ভারতের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী৷ এ দিনের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত দু দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে৷

আগে বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী রাইসিনা ডায়লগে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন৷ বিদেশ মন্ত্রক এখন হাসান মাহমুদকে সেখানে থাকার অনুরোধ করেছে৷ তিনি সম্ভবত বুধবার সেখানে থাকবেনও৷ সব মিলিয়ে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রীর ভারত সফর বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে যাচ্ছে৷ 

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি গৌতম হোড়৷
গৌতম হোড় ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি৷