ভারতের সিরিজ জয়, সঙ্গে জোড়া রেকর্ড
৯ ডিসেম্বর ২০১১পয়েন্টের বাঁদিক দিয়ে বলটা বাউন্ডারির বাইরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম৷ বীরেন্দ্র সেহবাগ দ্বিশতরানের মাইলস্টোন ছোঁয়ার পর, আবারো আনন্দের জোয়ার গোটা ভারতে৷ বলাই বাহুল্য, ‘ওয়ান ডে' ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের নজির গড়েন সেহবাগ৷ ২৫টি চার ও সাতটি ছয়ের সাহায্যে মাত্র ১৪৯ বলে ২১৯ করেন তিনি৷ ভাঙেন ‘লিটল মাস্টার' তেন্ডুলকর-এর রেকর্ড৷ তার ওপর, ওটা ছিল দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরিরও৷
এরপর ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পোরাটা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা৷ ভারতের এযাবৎ মোট ৪১৮ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ২৬৫ রানে৷ রাহুল শর্মা ও রবীন্দ্র জাডেজা তিনটি করে উইকেট নেন৷ আর ক্যারিবিয়ানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৬ রান করেন রামদিন৷
আগের তিনটি ম্যাচে সেহবাগের রান ছিল ২২, ২৬ এবং ০৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার, এক সংহারমূর্তি ধরেন ভারতীয় অধিনায়ক৷ যেন শুরু হয় তাঁর ‘রান-রায়ট'৷ প্রথম থেকেই সেহবাগের ঝোড়ো ব্যাটিং-এর সামনে তাই অসহায় লাগছিল ক্যারিবিয়ান বোলারদের৷ তিনটি চার ও চারটি ছক্কা সহযোগে ৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন বীরু৷ আর তারপর, মাত্র ৬৯ বলে পৌঁছান সেঞ্চুরিতে৷ এরপর তাঁকে আর আটকানো যায় নি৷ ২৩টি চার ও সাতটি ছয়ের সাহায্যে ১৪০ বলে ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান সেহবাগ৷ অর্থাৎ, এদিনের সেহবাগ-ঝড়ে ক্যারিবিয়ানরা প্রায় মাথাই তুলতে পারেননি৷ আর সেই সুনামিতে ভর করেই পাঁচ উইকেটে ৪১৮ রান তোলে ভারত৷
সে যাই হোক, সিরিজ এখন ভারতের পক্ষে৷ চেন্নাই-এর শেষ ম্যাচটি নেহাতই নিয়মরক্ষার৷ তাই এদিন ‘সিনিয়র'-দের হয়তো মাঠের বাইরে রাখবেন সেহবাগের দল৷ এমনকি, নিজের কেরামতি দেখানোর একটা সুযোগও পেয়ে যেতে পারেন পশ্চিম বঙ্গের অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক