ভারতের স্কুলে জার্মান ভাষাশিক্ষা
৬ মে ২০১৪লক্ষ্য হল: ‘‘ভারতীয় পাঠক্রমের অঙ্গ হিসেবে একটি পূর্ণাঙ্গ জার্মান ভাষাশিক্ষা কর্মসূচি,'' বলেছেন রাষ্ট্রদূত স্টাইনার৷ রাজধানীর কার্মেল কনভেন্ট স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময় স্টাইনার এই মন্তব্য করেন৷ ইতিপূর্বে স্কুলটিকে একটি ‘পাশ' বা ‘পার্টনার্স ফর দ্য ফিউচার' অর্থাৎ জার্মানির সহযোগী স্কুলের মর্যাদা প্রদান করেন তিনি৷ স্কুলের ক্যাম্পাসে ‘পাশ' ফলকটিও স্থাপন করা হয়েছে৷
ইতিপূর্বে স্টাইনার তাঁর ভাষণে বলেন যে, বিশ্বায়নের বিশ্বে ভৌগোলিক দূরত্বের চেয়ে ‘‘মানসিক নৈকট্য'' অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং বিদেশি ভাষা সেই নৈকট্য এনে দেয়৷ এই প্রসঙ্গে স্টাইনার কার্মেল-এর ছাত্রীদের বলেন: ‘‘তোমরা ভাবছ তোমাদের মধ্যে অধিকাংশ ভারতেই বড় হয়ে উঠবে৷ কিন্তু সেটা সত্যি নয়... বস্তুত তোমরা একটি বিশ্বায়িত বিশ্বে বড় হয়ে উঠবে... তোমরা যেটাকে ভাবছ দূরের, সেটা হবে কাছের, এবং তোমরা যেটাকে ভাবছ কাছের, সেটা অতি দূরের হতে পারে৷''
ভাষাশিক্ষা প্রসঙ্গে স্টাইনার বলেন, সংস্কৃতের সঙ্গে জার্মানের অনেক সাদৃশ্য আছে এবং সেটা দু'টি দেশের সুদীর্ঘ ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রমাণ৷ ভৌগোলিক বিচারেও দূরত্বটা যতো বেশি বলে মনে হয়, ‘‘বাস্তবে আমরা ততোটা দূরে নই''৷ কার্মেলের কিছু ছাত্রী স্টাইনারের সঙ্গে জার্মানে কথা বলার পর স্টাইনার বলেন, তাদের জার্মান ভাষার দখল দেখে তিনি চমৎকৃত৷
পি-এ-এস-সি-এইচ অথবা ‘পাশ' কর্মসূচি চালু হয় ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে৷ এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ এর উদ্দেশ্য হল সারা বিশ্বে এমন সব স্কুলের একটি নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করা, যাদের জার্মানির সঙ্গে সংযোগ আছে৷ বর্তমানে সারা বিশ্বের দেড় হাজারের বেশি স্কুল এই নেটওয়ার্কে সংশ্লিষ্ট৷ শুধু ভারতেই ৪৪টি ‘পাশ'' স্কুল আছে, যাদের মধ্যে বারোটি আবার রাজধানী নতুন দিল্লিতে৷ গতবছর দেরাদুনের ঐতিহ্যমণ্ডিত ডুন স্কুলও এই কর্মসূচিতে যোগ দেয়৷
এসি/এসবি (পিটিআই)