1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের হারের পর উৎসব কাশ্মীরে, এফআইআর

২৭ অক্টোবর ২০২১

পাকিস্তানের কাছে ভারত হারার পরেই কাশ্মীরের দুইটি মেডিক্যাল কলেজে ভারত-বিরোধী স্লোগান। এফআইআর দায়ের।

https://p.dw.com/p/42Dmk
এই কলেজের ছাত্ররা পাকিস্তানের সমর্থনে ও ভারত-বিরোধী স্লোগান দিয়েছে বলে অভিযোগ। ছবি: Mukhtar Khan/AP/picture alliance

কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর এই ধরনের ঘটনা এতটা ব্যাপকভাবে ঘটেনি। পাকিস্তানের সমর্থনে স্লোগান এবং ভারত ম্যাচ হারায় বিজয়োল্লাসের ঘটনা। আর সেটাও হয়েছে যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীরে উপস্থিত ছিলেন, সেই সময়। ফলে দুইটি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র, পরিচালন সমিতির সদস্য এবং ওয়ার্ডেনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইন) অনুসারে এফআইআর করেছে পুলিশ।

শ্রীনগরের গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ (জিএমসি) এবং শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এসকেআইএমএস)-এ এই ঘটনা ঘটে। তারপরই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানের সমর্থনে সোচ্চার ছিলেন ছাত্ররা। তারা ভারত-বিরোধী স্লোগানও দিতে থাকেন। এরপরই সৌরা ও করণনদর থানায় দুইটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। তারা আগে ভিডিওগুলি খতিয়ে দেখবেন। তারপর ব্যবস্থা নেবেন। কারণ, ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলির মধ্যে কয়েকটি ২০১৬ সালের।

এসকেআইএমএস সূত্র জানাচ্ছে, একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেবে।

জম্মু-কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজাদ লোন টুইট করে বলেছেন, ‘‘অন্য একটি দলের সমর্থনে সোচ্চার হওয়ার জন্য যদি মনে করেন অভিযুক্তরা দেশপ্রেমী নন, তা হলে সেই অভ্যাস ফিরিয়ে আনার সাহস থাকা দরকার। ছাত্রদের শাস্তি দিয়ে কোনও লাভ নেই।''

ইউএপিএ আইন ২০০৯ সালে সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে 'দেশবিরোধী' কাজ করলে কাউকে জঙ্গি আখ্যা দেয়ার অধিকার সরকারের আছে। ছয় মাস অভিযুক্তকে আটকে রাখা যায়। তার সাত বছর পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে।

ম্যাচ নিয়ে

পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্ররা যে ভারত-বিরোধী স্লোগান দিয়েছে, তা বেআইনি। তবে শুধু এই ছাত্ররাই নয়, ম্যাচ শেষ হওয়ার পর কয়েকশ মানুষ শ্রীনগরের রাস্তায় নেমে নাচতে থাকেন। তারা বাজি ফাটিয়েছেন, 'লং লিভ পাকিস্তান' স্লোগানও দিয়েছেন। 

অমিত শাহের সফর

এই ঘটনা যখন হয়েছে, তখন অমিত শাহ কাশ্মীরে ছিলেন। তিনি পুলওয়ামায় গিয়ে রাত কাটান। পুলওয়ামাতে সিআরপি শিবিরে জঙ্গিদের আক্রমণে ৪০ জন আধাসেনা মারাগেছিলেন। ২০১৯ সালে এই ঘটনা ঘটে। অমিত শাহ বলেছেন, কাশ্মীরে সম্পূ্ণ শান্তি না ফেরা পর্যন্ত স্বস্তি নেই।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই, এপি)