1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের ১২টি রাজ্যে আছেন রোহিঙ্গারা

গৌতম হোড় নয়াদিল্লি
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ভারতের ১২টি রাজ্যে বসবাস করছেন রোহিঙ্গারা। তাঁরা সকলেই বেআইনিভাবে এসেছেন। সংসদে জানালেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।

https://p.dw.com/p/3oqln
ভারতের ১২টি রাজ্যে আছেন রোহিঙ্গারা। ছবি: DW/Ashish Malhotra

পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের মোট বারোটি রাজ্যে আছেন রোহিঙ্গারা। রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। সাংসদ অনিল দেশাইয়ের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীর, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, আসাম, কর্ণাটক, কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গারা আছেন। তাঁরা বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকেছেন। তাঁদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। তবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, কতজন রোহিঙ্গা এই সব রাজ্যে বসবাস করছেন, তার কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই।

নিত্যানন্দ রাইয়ের জবাব থেকে বোঝা যাচ্ছে, রোহিঙ্গারা উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বসবাস করছেন। এর মধ্যে বিজেপি-শাসিত হরিয়ানা, কর্ণাটক, আসাম ও উত্তর প্রদেশ আছে। জম্মু ও কাশ্মীরে লেফটন্যান্ট গভর্নরের শাসন চলছে এবং তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি। এছাড়া বিরোধী-শাসিত পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, দিল্লি আছে। ফলে এটা বলা যাবে না, রোহিঙ্গারা বিজেপি-শাসিত রাজ্যে নেই। সব চেয়ে বড় কথা, কতজন রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছে, মোদী সরকারের কাছে তার কোনো তথ্য নেই। তার মানে কোন রাজ্যে কত রোহিঙ্গা আছে, তার কোনো পাকা হিসাবও নেই।

দিল্লিতে রোহিঙ্গারা আছেন মদনপুর-খাদাড় এলাকায়। কিছুদিন আগে হায়দরাবাদে পুরসভা নির্বাচনের সময় দেখা যাচ্ছিল, রোহিঙ্গাদের বিষয়টি প্রচার হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে এখন প্রতিদিনই বিজেপি নেতারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। অর্থাৎ, রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি।

প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্রের মতে, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক বিষয়। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের সমস্যা মানবিক। কিছু মানুষের খারাপ কাজের জন্য লাখ লাখ মানুষ পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের কোনো দেশ নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত, বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলা। তাদের পরিচয়পত্র দেয়া। তাঁদের ফেরত পাঠানোর পথ প্রশস্থ করা। শুভাশিস মনে করেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাজনীতি একেবারেই কাম্য নয়।

অসমিয়া প্রতিদিনের দিল্লির ব্যুরো চিফ আশিস গুপ্ত মনে করেন, রোহিঙ্গাদের উদ্বাস্তুদের মর্যাদা দেয়া উচিত। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গারা কম-বেশি অনেক রাজ্যেই আছে। কিন্তু তাঁদের উদ্বাস্তু মর্যাদা দেয়া হয়নি। বিশ্ব এখন বুঝে গেছে, রোহিঙ্গা মানবিক সমস্যা। অনেক দেশই তাঁদের সাহায্য করছে। বাংলাদেশ তো খুব ভালো কাজ করেছে। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে। আর ভারতে তাঁদের নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। 

অনিল দেশাইয়ের প্রশ্ন ছিল, রোহিঙ্গাদের কবে ফেরত পাঠানো হবে? মন্ত্রী অবশ্য তার কোনো জবাব দেননি।

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি গৌতম হোড়৷
গৌতম হোড় ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি৷