ভাষা ব্যবহারে সচেতনতার অভাব
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন,‘‘এটা সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির বিষয় না৷ ব্যাপারটা হলো বাংলা রাষ্ট্রভাষা হয়েছে ১৯৭২ সালের সংবিধানের মধ্য দিয়ে৷ তার মানে প্রায় ৪০ বছর হয়ে গেছে৷ কিন্তু এখনো সুপ্রিম কোর্টে পুরোপুরি বাংলা ভাষা ব্যবহৃত হচ্ছে না৷ তবে সরকারি অনেক কাজেই বাংলার ব্যবহার হচ্ছে৷ গেজেট প্রকাশ থেকে শুরু করে সরকারি আমন্ত্রণপত্র বাংলায় লেখা হচ্ছে৷ কিন্তু আসল সমস্যাটা রয়ে গেছে শিক্ষাক্ষেত্রে৷ দেশে যত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশতেই বাংলা ভাষার ব্যবহার প্রায় হয় না বললেই চলে৷ ফলে তরুণরা বাংলা ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে না৷''
বিশিষ্ট নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিক বলছেন, তরুণদের মধ্যে ভাষা ব্যবহারে অসচেতনতা দেখা যাচ্ছে৷ তারা যেনতেন ভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে চায়৷ তাই তারা বাংলা আর ইংরেজি মিশিয়ে কথা বলে৷ মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা লেখার সময়ও তারা ইংরেজিটাই বেশি লিখছে৷
তিনি বলেন, আগে একটা সময় ছিল যখন সবকিছুতেই বাংলা ব্যবহারের চল ছিল৷ যেমন বাড়ি বা দোকানপাটের নাম রাখা, বিয়ের আমন্ত্রণপত্র ছাপানো – এগুলোতে বাংলা ব্যবহৃত হতো৷ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেই রীতিটা আর নেই৷ এখন সবাই ইংরেজি নাম রাখার দিকে ঝুঁকছে৷ এমনকি অল্প শিক্ষিত লোকজনও ভুলভাল ইংরেজিতে লোকজনকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে, যেটা দুঃখজনক৷
এর জন্য অধ্যাপক রফিক মানুষের হীনম্মন্যতাকে দায়ী করছেন৷ তিনি বলেন, মানুষ এখন মনে করে ইংরেজিতে লেখাটা গৌরবের বিষয়৷ তাই তাঁরা সেটাই করছেন৷
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন