ভিয়েনার সেন্ট স্টেফেন ক্যাথিড্রাল

সেন্ট স্টেফেনের ক্যাথিড্রাল ‘স্টেফেন ডোম’ নামেও পরিচিত৷ প্রাচীন এই গির্জাটি ভিয়েনা শহরের প্রতীকও বটে৷

সেন্ট স্টেফেন গির্জাটি নির্মাণ করা হয় দ্বাদশ শতকের শুরুর দিকে৷ অস্ট্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গথিক স্থাপত্য কাঠামোগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি এই সেন্ট স্টেফেনের ক্যাথিড্রাল বা স্টেফেন ডোম৷

সেন্ট স্টেফেন ক্যাথিড্রাল প্রায় ৩৫০ ফুট দীর্ঘ এবং ১১২ ফুট চওড়া৷ গির্জাটির উপরে আছে চারটি সুউচ্চ টাওয়ার৷

স্টেফেন ডোমের চারটি টাওয়ারের মধ্যে দক্ষিণমুখীটি সবচেয়ে উঁচু৷ এটি উচ্চতায় প্রায় সাড়ে চারশ’ ফুট৷ এর চূড়া থেকে ভিয়েনা শহরের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়৷ উত্তরের টাওয়ারটি উচ্চতায় দ্বিতীয়৷ এর উচ্চতা প্রায় ২২৪ ফটু৷

সেন্ট স্টেফেন ক্যাথিড্রালের ভেতরের দৃষ্টিনন্দন প্রার্থনা কক্ষটি পর্যটকেদর জন্য উম্মুক্ত৷ তবে ভেতরের প্রার্থনা মঞ্চসহ নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় যেতে দর্শনার্থীদের টিকেট কিনতে হয়৷

সেন্ট স্টেফেন ক্যাথিড্রালের বাইরের দেয়াল জুড়ে রয়েছে নানান শৈল্পিক নিদর্শন৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাথরের তৈরি বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন মূর্তি৷

ভিয়েনা শহরের জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে এ গির্জাটি অন্যতম৷ প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত অবধি ডোম চত্ত্বর ঠাসা থাকে বিদেশি পর্যটকে৷ তবে গ্রীষ্ম মৌসুমে পর্যটকের সংখ্যা বহুগুণ বেশি হয়৷

ভিয়েনা শহরের এই গির্জাটিতে রাতেরবেলা চারপাশ থেকে ফেলা আলোয় বেশ ঝলমলে মনে হয়৷ রাতের এই সৌন্দর্য দেখতেও অনেক পর্যটক ভিড় করেন সেখানে৷

বড়দিনকে সামনে রেখে প্রতিবছরই ক্রিসমাস মার্কেট বসে সেন্ট স্টেফেনের ক্যাথিড্রালের পাশের খোলা চত্ত্বরে৷

সেন্ট স্টেফেন ক্যাথিড্রালের আশেপাশের জায়গাগুলো ঘুরে দেখার জন্য আছে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি৷ পর্যটকরা এ গাড়িতে নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধ করে সওয়ার হতে পারেন৷