ভূমিকম্পের শোক ও আতঙ্ক কাটিয়ে ওঠার সংগ্রামে তাইওয়ান
তাইওয়ানের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। অনেকের খোঁজ মেলেনি এখনো। জার্মানির দুই নাগরিক ধ্বংসাবশেষে আটকা পড়েছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।
২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প
রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.২। একাধিক বোল্ডার পশ্চিম তাইওয়ানের তাইচুং-এ একটি হাইওয়ে ঢেকে রেখেছে। ছবিতেই স্পষ্ট দুর্যোগ কতটা ভয়াবহ ছিল। বুধবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরের হুয়ালিয়েন কাউন্টি। তাইপেই সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের পরিচালক উ চিয়েন-ফুর মত, ২৫ বছরের মধ্যে এটা দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
ভারসাম্যহীন বাড়ি
তাইওয়ানের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর হুয়ালিয়েনে একটি ভবন আংশিকভাবে ধসে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ৭০ জনেরও বেশি মানুষ শুক্রবার পর্যন্ত ওই ভবনে আটকে ছিলেন। শনিবার হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িগুলো থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে
মৃতের সংখ্যা কত
শত শত লোক পাহাড়ি এলাকায় আটকা পড়ে রয়েছেন। হয় বিলাসবহুল হোটেলে, কেউ হস্টেলে, এ ছাড়াও টানেল এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অনেকে আটকা পড়েছিলেন।
'১৭ মিনিট মাত্র'
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, লাউডস্পিকারের মাধ্যমে তাইওয়ানের হুয়ালিয়েনের টোংশুয়াইয়ে শুক্রবার ঘোষণা করা হচ্ছিল; "আপনার কাছে ১৭ মিনিট আছে। এখন উপরে যেতে পারেন!" তড়িঘড়ি করে জিনিসপত্র আনতে উচু একটি ভবনে প্রবেশ করছিলেন বাসিন্দারা। ওই বাড়িকে "বিপজ্জনক এবং বসবাসের অযোগ্য" ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশব্যাপী ক্ষতি
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই পর্যন্ত উত্তরে অনুভূত হয়েছে এই কম্পন। এই গাড়ি মেরামতের দোকানটি দেখলেই ভয়াবহতা বোঝা যাবে। জাপান এবং ফিলিপাইন্সে ভূমিকম্পটি ১০ ফুট পর্যন্ত সুনামির অস্থায়ী সতর্কতা জারি করেছে। চীন ও ফিলিপাইন্সেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
উদ্ধারকাজ অব্যাহত সপ্তাহান্তেও
সামরিক বাহিনী হুয়ালিয়েনে জীবিতদের সন্ধান করছে। দমকল বিভাগের মতে, শহরে অন্তত ২৬টি ভবন ধসে পড়েছে। উদ্ধারকারীরা কোনো কোনো জায়গায় সমস্যায় পড়েছেন কারণ কিছু বাড়ির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা
উত্তর-পূর্ব তাইওয়ানের ইলানের এই সুপারমার্কেটেও ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছিল। তারই মাঝে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছেন মানুষজন। দুটি টেকটোনিক প্লেটের সঙ্গমস্থলের কাছে অবস্থিত হওয়ায় দ্বীপরাষ্ট্রে নিয়মিত ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
টানেলগুলো বিপজ্জনক
ভূমিকম্পের সময় টানেলগুলো অত্যন্ত বিপজ্জনক। কর্তৃপক্ষ অনুমান করছে, ১২০ জনেরও বেশি লোক সেখানে আটকা পড়ে রয়েছেন। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া দুই জার্মান নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে।