ভেটোর এ সিদ্ধান্ত ‘ব্রিটেনের জন্য নেতিবাচক’: নিক ক্লেগ
১৩ ডিসেম্বর ২০১১এই ভেটো দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল খোদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন-এর৷ আর এর জন্য তাঁকে সংসদের মুখোমুখি হতে হয়৷ উত্তর দিতে হয় এমপি'দের বিভিন্ন প্রশ্নের৷ স্বাভাবিকভাবেই, নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে আপ্রাণ যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেন ক্যামেরন৷ বলেন, তিনি আসলে ইইউ-র এই চুক্তিতে সায় দেওয়ার কথাই ভেবেছিলেন৷ কিন্তু তা যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এই ভাবনা থেকেই শেষ পর্যন্ত ভেটো দিয়েছেন তিনি৷ এছাড়া, দেশের জন্য তিনি যা চেয়েছেন, তা ন্যায়সঙ্গত, যুক্তিসঙ্গত ও উপযোগী – এই দাবি করেন ক্যামেরন৷ তবে ভেটো দেওয়ার পরও, ব্রিটেনের জাতীয় স্বার্থের জন্য ইইউ'র সদস্যপদ যে অপরিহার্য – সেটা উল্লেখ করতেও ভোলেন না তিনি৷ মনে রাখতে হবে, ইউরো সংকট সমাধানে কঠোর বাজেট নীতি বিধিবদ্ধ করার লক্ষ্যে এরকম একটা চুক্তি করার ব্যাপারে ব্রিটেন ছাড়া ইইউ'র ২৬টি দেশই রাজি হয়েছিল৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কি ছিটকে পড়বে ব্রিটেন?
ক্যামেরনের জোট সহযোগী লিবারেল পার্টির প্রধান, ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ'এর ভাষায়, ইউরো জোনকে ঋণ সংকট থেকে বাঁচানোর জন্য নতুন এক চুক্তি করার ওপর ভেটো দিয়ে ব্রিটেন মোটেও ‘ভালো কাজ করেনি'৷ কারণ, এতে করে ব্রিটেন ইইউ থেকে ক্রমেই ‘বিচ্ছিন্ন ও কোণঠাসা' হয়ে পড়তে পারে৷ তাছাড়া, বিষয়টি নিয়ে মতবিরোধের কারণে দেশের জোট সরকার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর ব্রিটেনের জন্য৷ আর সেটা হলে, বিশ্বব্যাপী আর্থিক অনিশ্চয়তার এ সময়ে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেবে ব্রিটেনে৷ বলা বাহুল্য, ইইউ'র নতুন এই চুক্তিতে বাজেট নীতি নিয়ে কড়া নিয়ম-কানুন মেনে চলার প্রস্তাব রয়েছে এবং কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে কড়া শাস্তিরও বিধান থাকবে৷ এরকম একটি চুক্তি সই হয়ে যাবে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে, জানিয়েছেন ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট হ্যারমান ফন রম্পয়৷৷
ইউরো নিয়ে এই টালমাটাল অবস্থায় শেয়ার বাজারের অবস্থা
মঙ্গলবার পর্যন্তও মার্কিন ডলারের অনুপাতে ইউরো দুর্বল ছিল৷ গত ১০ সপ্তাহের মধ্যে ইউরো মুদ্রার এমন অবনমন আর দেখা যায় নি৷ বিশেষজ্ঞরা এ অবস্থাকে অত্যন্ত ‘সংকটপূর্ণ এবং অস্থিতিশীল' বলে মন্তব্য করেছেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তো বটেই, এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে ব্যাপক হারে৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক