ভোগের প্রচ্ছদে ফর্সা কমলা হ্যারিস, বিশ্বজুড়ে নিন্দা
জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন ম্যাগাজিন ‘ভোগ’-এর প্রচ্ছদে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ছবি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ অভিযোগ উঠেছে বর্ণবাদের৷
ভোগের প্রচ্ছদ
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী, কৃষ্ণাঙ্গ ও আফ্রো-এশীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে নজির গড়েছেন কমলা হ্যারিস৷ জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন ম্যাগাজিন ‘ভোগ’-এর ফেব্রুয়ারি সংস্করণের প্রচ্ছদে তার ছবি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে৷ তার গায়ের রং ফর্সা দেখানো হয়েছে৷ পাশাপাশি তার পোশাক, স্টাইল ও ছবি তোলার ধরন নিয়েও হচ্ছে সমালোচনা৷
‘আ ওয়াশ আউট মেস’
গায়ের রঙ বদলে ফেলায় বর্ণবাদের অভিযোগে ভোগের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে৷ টুইটারে ট্রেন্ডিং হ্যাশ ট্যাগ ‘আ ওয়াশ আউট মেস’৷
টুইটারে ছবি প্রকাশ
রোববার টুইটারে কমলাকে নিয়ে তৈরি দুটি প্রচ্ছদ প্রকাশ করে ভোগ৷ প্রথম ছবিতে হ্যারিসকে দেখা গেছে ভীষণ ‘ক্যাজুয়াল’ পোশাকে৷ এখানে তিনি কালো ট্রাউজার এবং জ্যাকেট পরে আছেন আর পায়ে সাদা-কালো স্নিকার্স৷
সমালোচনা
এই ছবি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়৷ অনেকেই বলছেন, তাদের মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে এর চেয়ে ভালো ছবি তোলা সম্ভব৷ আবার কারো প্রশ্ন একজন দেশের এমন সম্মানিত একজন ব্যক্তিকে এত ‘ক্যাজুয়াল’ ভাবে উপস্থাপন করা ঠিক হয়েছে?
প্রথম ছবি প্রকাশের পর ভোগের বিবৃতি
এক বিবৃতিতে ভোগ জানায়, বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের হলমার্ক হল ‘যা সত্যি ও স্বাভাবিক’৷ হ্যারিসের এইসব ক্যাজুয়াল ছবিতে সেটাই প্রকাশিত হয়েছে৷ কমলা হ্যারিসের পোশাক, চুলের স্টাইল এবং মেকআপ তার টিমের লোকেরাই করেছেন বলে জানিয়েছে ভোগ৷
সিএনএন যা বলছে
হ্যারিসের দলের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের মাধ্যমে সিএনএন জানিয়েছে, হ্যারিসের টিম এই প্রচ্ছদ দেখে হতাশ হয়েছে৷ তাদের মতে, ভোগের উচিত ছিলো হ্যারিসকে ‘ফরমাল’ পোশাকে উপস্থাপন করা৷ তারা চাইছে যাতে ভোগ নতুন প্রচ্ছদ করে৷ তবে ডিসেম্বরেই ম্যাগাজিন প্রিন্টের কাজ শেষ হয়েছে৷
দ্বিতীয় ছবি
এখানে হ্যারিসকে ফরমাল পোশাকে দেখা গেছে৷ পরেছেন হালকা নীল রংয়ের স্যুট৷ তবে যে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা বেশি হচ্ছে তাহল দু’টি ছবিতেই কমলার গায়ের রং ফর্সা৷ ছবিগুলো তুলেছেন টাইলার মিশেল৷ ভোগের কভারের ছবি তুলে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ফটোগ্রাফার হিসেবে যিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন৷ ভোগের কভারের জন্য ২০১৮ সালে বিয়ন্সের ছবি তুলেছিলেন তিনি৷
ভুল স্বীকার
সংখ্যালঘুদের প্রতি সংবেদনশীল না হওয়ায় অতীতেও ভোগের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছিল৷ ভোগের অফিসে কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীদের সংখ্যা এত কম কেনো? এ প্রশ্নের জবাবে ২০২০ সালে ভোগের প্রধান সম্পাদক আনা উইনটুর ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, যে ভুল হয়েছে তার সবটুকু দায়ভার তার৷ তবে এবারের ছবি নিয়ে কোন দায় স্বীকার করেননি তিনি৷