ভোটের জন্য কী না করেন জার্মান প্রার্থীরা!
দরজায় কড়া নাড়ছে জার্মানির ফেডারেল নির্বাচন৷ ভোটের জন্য এখন যে কোনো কিছুই করতে রাজী প্রার্থীরা৷ প্রার্থী ও দলগুলোর এমন কিছু অদ্ভুত কর্মকাণ্ড নিয়ে এই ছবিঘর৷
একেবারে সবুজ
গ্রিন পার্টি বা সবুজ দল জার্মানির পরিবেশবাদী দল হিসেবে পরিচিত৷ সুতরাং পরিবেশভিত্তিক কাজ করবেন এই দলের প্রার্থীরা, এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু তাই বলে নির্বাচনের প্রার্থীরা সাইকেলে চড়ে প্রচারণা চালাবেন! এমন ঘটনাই ঘটেছে ওস্টেরড শহরে৷ ২৪ হাজার বাসিন্দার এ শহরটিতে দলের প্রার্থী ফিওলা ফন ক্রামন একটি পরিবেশবান্ধব ই-বাইকে চড়ে চেষ্টা করছেন ভোটারদের আকৃষ্ট করার৷
ফ্রি খাবার
অনেক দেশে ভোটারদের ফ্রি খাবার দিয়ে আকৃষ্ট করায় বিধিনিষেধ থাকলেও জার্মানিতে এমন নিষেধাজ্ঞা নেই৷ অবশ্যই খাবারের বিনিময় হিসেবে ভোট চাওয়া যাবে না৷ কোলনের কোরভাইলার এলাকার ৭৫ শতাংশ ভোটারই অভিবাসী পরিবারের৷ সেখানে বাম দল আয়োজন করেছে ক্যাম্পেইন পিকনিকের৷ বারবিকিউ, নানা রকমের পানীয়, টেবিল সকার এবং শিশুদের জন্য বেলুনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে৷ উদ্দেশ্য একটাই– কেউ এসে বসলে তার সাথে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা৷
বিয়ার নয়, ক্লাবহাউজ
জার্মানরা বিয়ার বিশেষভাবে পছন্দ করে৷ তাই বিয়ারগার্ডেনেই সাধারণত আয়োজন হয় নানা অনুষ্ঠানের৷ কিন্তু বাভেরিয়ার কুল্মবাখ শহরে খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইয়ের সহযোগী দল খ্রিষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন -সিএসইউ বেছে নিয়েছে নতুন আইডিয়া৷ দলের প্রার্থী এমি সয়েলনার এবং সিডিইউয়ের বক্তা ভ্যোলফগাং বসবাখ আলোচনার আয়োজন করেছেন এক সকার ক্লাব হাউসে৷
ঘণ্টা আর বাঁশি
সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির তরুণরা বাঁশি ও ঘণ্টা নিয়ে নেমেছেন মাঠে৷ হইহুল্লোড়ে দলের চ্যান্সেলর প্রার্থী মার্টিন শুলৎসকে স্বাগত জানানোই লক্ষ্য৷ একই সাথে দলের উপস্থিতি যতটা সশব্দে জানান দেয়া যায়৷ ও হ্যাঁ, সবার হাতে হাতে সাবানের বুদবুদও ছিল৷
শিশা বারে নির্বাচনি প্রচারণা
এত কিছু থাকতে শিশা বার! এমন অদ্ভুত ভেন্যু বেছে নিয়েছে বিদ্রুপাত্মক দল ‘দি পার্টি’৷ ফ্রাংকফুর্টের এক শিশা বা হুক্কা বারে রীতিমতো আনুষ্ঠানিক পোশাকে দলের ব্যানার হাতে ভোটারদের স্বাগত জানান নেতারা৷ দেখে বোঝার উপায় নেই, এটা সত্যিকারের নির্বাচন প্রচারণা না৷
সবার জন্য সর্বনিম্ন বুদ্ধি
অনেক দলই মাথা ঘামাচ্ছে সর্বনিম্ন মজুরি নিয়ে৷ তবে দি পার্টির মূল চিন্তা মানুষের সর্বনিম্ন বুদ্ধি নিয়ে৷ মানুষ হওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ বুদ্ধি অবশ্যই থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন দলের নেতারা৷ কিছু দল পরিচয় দিচ্ছে কট্টর বাম, কেউ আবার চরম ডান, কিন্তু দি পার্টি নিজের পরিচয় দেয় কট্টর মধ্যপন্থি হিসেবে৷ প্রহসন, মজা আর কৌতুকই আসল, নিজেদের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক অংশের সাথে যুক্ত করতে চান না তাঁরা৷