ভোলায় পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষের মামলায় আসামি চার শতাধিক
১ আগস্ট ২০২২রোববার রাতে ভোলা সদর মডেল থানার এসআই মো. জসিম বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদ সরদার জানান৷
তিনি ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একটি এবং সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম হত্যার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে৷ এতে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যানসহ বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করেছে পুলিশ৷ আসামিদের মধ্যে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ আর ৩৫০ জন অজ্ঞাত পরিচয়৷ তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান ফরহাদ৷
এর আগে রোববার দুপুরে জেলা সদরের মহাজনপট্টিতেপুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে একজন নিহত ও অন্তত অর্ধশত আহত হয়৷
লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়৷ এক পর্যায়ে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান৷ এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে৷ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে৷
নিহত আবদুর রহীম স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী বলে জানান বিএনপি নেতারা, তাদের অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে রহীম নিহত হয়েছেন৷ ঘটনার পর ১১ জনকে আটকের কথা জানায় পুলিশ৷ দুপুরে শহরের মহাজনপট্টির বাসভবনে জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে ঘটনার বিবরণ দেন৷
সেখানে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে ভোলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশ' অশান্ত করার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘‘সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গুলি, টিআর সেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে৷ পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহীম মারা যায়৷ হামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে৷’’
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বরিশাল ও ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেন জানান তিনি৷ তাদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধ বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার৷
তবে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদ সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে এ ঘটনার জন্য বিএনপিকেই পাল্টা দায়ী করেছেন৷ পুলিশের এ কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘‘সমাবেশ শান্তিপূর্ণই ছিল কিন্তু সমাবেশ শেষে মিছিল করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে পড়েন৷ তখন তারা পুলিশের উপর হামলা করেন৷’’
এদিকে সেচ্চাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকেও পাল্টা মামালা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা বিএনপি নেতা গোলাম নবী৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)