ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য মজার কিছু তথ্য

প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবনের কাছাকাছি বা তীরে জার্মানির যেসব শহরের অবস্থান, সেগুলোর নাম শুরু হয় ‘বাড’ (স্নান বা স্পা) দিয়ে৷ পশ্চিম জার্মানির বৃহৎ শহর আখেন৷ প্রাচীনকাল থেকেই এটি প্রাকৃতিক উষ্ণ জলের জন্য খ্যাত৷ এমনকি রোমানরাও এই শহরে আসতেন গরম জলে স্নান করার জন্য৷ কিন্তু নামের আগে বাড ব্যবহার করে না আখেন৷ কারণ, এতে বর্ণমালা অনুযায়ী শহরের তালিকায় সবার উপরে থাকা হবে না শহরটির৷

ইউরোপের শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ নামের অধিকারী ওয়েলসের Llanfairpwllgwyngyllgogerychwyrndrobwllllantysiliogogogoch৷ এর অর্থ ‘সুইফট এডির সাদা হ্যাজেলনাট এবং লাল গুহার নিকটবর্তী থিসিলির চার্চের মাঝখানে অবস্থিত সেইন্ট মেরির চার্চ’৷

যেদিক থেকেই বিবেচনা করা হোক না কেন বিশ্বের অবাক করা স্থাপনায় উপরের দিকে থাকবে চীনের মহাপ্রাচীর৷ কিন্তু জানেন কি এর দেয়ালের কংক্রিটের মিশ্রণে আঠালো ভাত ব্যবহার করা হয়েছিল? ১৫০০ বছর আগে চীনে মন্দির, প্যাগোডা, প্রাচীরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে এমন রেওয়াজ চালু ছিল৷ এ কারণে এসব স্থাপনা আজো অক্ষত আছে বলে মনে করা হয়৷

প্যারিসের প্রধান আকর্ষণ আইফেল টাওয়ার৷ এর আকার কিন্তু সারা বছর এক থাকে না৷ গ্রীষ্মে আইফেল টাওয়ারের কাঠামোর ব্যাপ্তি ১৫ সেন্টিমটার বা ছয় ইঞ্চি বেড়ে যায়৷ শুধু আইফেল টাওয়ারই নয় যে-কোনো ইস্পাত কাঠামোর ক্ষেত্রেই তাপমাত্রার সঙ্গে আকারের তারতম্য ঘটে৷

ইটালিতে গেলে পর্যটকরা পিসার হেলানো টাওয়ারের সঙ্গে ছবি তুলতে ভোলেন না৷ এটি নির্মাণ করা হয়েছিল প্রাচীন বন্দর অববাহিকার বালুর উপরে৷ শুরুতে সোজা থাকলেও উঁচু করার সঙ্গে ধীরে ধীরে ভবনটি হেলে পড়তে শুরু করে, যা এখনও ঘটে চলছে৷ বলা হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে ২৩০০ সালে ধ্বসে পড়বে পিসার হেলানো টাওয়ার৷

অনেক স্কুলে এখনও ল্যাটিন শেখানো হয়৷ কিন্তু ভাষাটি প্রায় মৃত৷ যারা শিখেছেনম তারা এটি কাজে লাগাতে পারেন ভ্যাটিকান সিটিতে গেলে৷ কেননা বিশ্বে ক্ষুদ্রতম এই রাষ্ট্রেই শুধু আনুষ্ঠানিক ভাষা ল্যাটিন৷ সেখানকার এটিএমগুলোতেও পাবেন ল্যাটিন ভাষার ব্যবহার৷

সেতুর শহর বললে কেউ আমস্টার্ডাম কেউবা ভেনিসের কথা ভাববেন৷ কিন্তু তার চেয়েও বেশি সেতুর শহর জার্মানির হামবুর্গ৷ নানারকমের আড়াই হাজার সেতু রয়েছে এই বন্দর নগরীতে৷ শহরের ভেতর দিয়ে হাঁটতে গেলে এর কোনো না কোনোটি আপনাকে পেরুতেই হবে৷

রূপকথার ‘এলফ’ আর ‘ট্রল’-এর কোন অস্তিত্ব ছিল! আইসল্যান্ডের মানুষেরা কিন্তু তেমনটাই বিশ্বাস করে৷ এমনকি এখনও জনগোষ্ঠীর একটি অংশ মনে করে, এই চরিত্ররা সত্যিই আছে৷ দেশটির সরকারে একসময় এই বিষয়ক একজন উপদেষ্টাও ছিলেন৷ তবে অবাক করা প্রকৃতির দেশ আইসল্যান্ডের মানুষের ‘এলফ’ আর ‘ট্রল’-এর মতো জীবে বিশ্বাস থাকা খুব একটা অবাক করা নয়৷

কল্পিত ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা বা আন্তর্জাতিক তারিখ রেখায় বিশ্বের অনেক দেশ আর দ্বীপেরই অবস্থান৷ তারই একটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ফিজির দ্বীপ তাভেউনি৷ সেখানে এই রেখাটির উপর নির্ভর করে আপনার ঘড়িতে দিনেরও তারতম্য ঘটবে৷ অর্থাৎ, মাত্র একটি পদক্ষেপে একদিন আগে অথবা একদিন পরে চলে যেতে পারেন আপনি৷