ভ্রমণের আনন্দ অটুট ছিল ২০১৮-তে
২০১৮ সালকে পর্যটনের জন্য একটি অত্যন্ত সফল বছর বলা যেতে পারে৷ কারণ, অতীতের যে কোনো বছরের তুলনায় বেশিবার মানুষ বিদেশ ভ্রমণ করেছেন৷ আর তাঁদের বেশিরভাগই ছিলেন এশিয়ান ও দক্ষিণ অ্যামেরিকান৷
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মনিটরের জরিপ
পর্যটনের কনসালটেন্ট কোম্পানি আইপিকে ইন্টারন্যাশনাল ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই জরিপ করছে৷ তাদের ৫ লাখেরও বেশি প্রতিনিধি বিশ্বের ৬০টি পর্যটন বাজারে কাজ করছে৷ তাঁদের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয় এই জরিপ৷
চীনা আর মেক্সিকানরা শীর্ষে
এশিয়া ও ল্যাটিন অ্যামেরিকানদের মধ্যে সমান ৮ ভাগ বেড়েছে পর্যটনের হার৷ বিশেষ করে চীন ও মেক্সিকোর নাগরিকরাই ভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহ দেখিয়েছেন সবচেয়ে বেশি৷ অন্যদিকে, ইউরোপীয়দের মধ্যে ৫ ভাগ ও উত্তর অ্যামেরিকানদের মধ্যে ভ্রমণের হার ৪ ভাগ বেড়েছে৷
শহরে আগ্রহ কমেছে
বিগত বছরগুলোতে পর্যটনস্থান হিসেবে শহরগুলোই ছিল এগিয়ে৷ কিন্তু ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো তা বদলেছে৷ শহরে ভ্রমণের হারের প্রবৃদ্ধি যেমনটি প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তেমনটি হয়নি৷
‘আশঙ্কা’ কম ছিল
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মনিটরের বিচারে ২০১৮ সালে তুলনামূলক কম সন্ত্রাসী হামলার কারণে পর্যটক উপচে পড়েছে আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে৷ এছাড়া প্রয়োজনেও মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দে ভ্রমণ করেছেন৷
তুরস্ক ঘুরে দাঁড়িয়েছে, স্পেন একই জায়গায়
ইউরোপে ভ্রমণের হিসেব করলে দেখা যায়, আগের বছরের তুলনায় ৩০ ভাগ বেশি পর্যটক গেছেন তুরস্কে৷ সে হিসেব তারা বিশাল ব্যবধানে প্রথম৷ গ্রিসেও ভ্রমণ বেড়েছে ১৯ ভাগ৷ গ্রেট ব্রিটেনে আগের বছরের তুলনায় ভ্রমণের হার কমেছে তিন ভাগ৷ স্পেন এবারো সবার প্রিয় পর্যটন দেশগুলোর একটি৷
নিরাপদ দেশ
সুইজারল্যান্ড, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো, ক্যানাডা ও অস্ট্রেলিয়াকে মানুষ নিরাপদ পর্যটন গন্তব্য হিসেবে মনে করেন৷ এছাড়া মিশর ও টিউনিশিয়া তাদের নেতিবাচক ইমেজ কিছুটা কাটাতে পেরেছে৷
২০১৯-এ কী হবে?
পর্যটনখাতের এই বিকাশ অব্যাহত থাকবে ২০১৯ সালেও৷ বাড়বে মানুষের ভ্রমণ৷ মানুষ স্বাদ নেবে প্রকৃতির অপার বিস্ময়ের, সঙ্গে মানুষের অদ্ভুত সৃষ্টির৷ পরিচিত হবে ভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে৷