ভয়, উত্তেজনার রামপুরহাট
চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে ছাই। হাওয়াই চটি। থমথমে গ্রামে সকলে সন্ত্রস্ত। পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ চিহ্নিত পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে ডিডাব্লিউ-র ক্যামেরা।
বগটুই গ্রামের অন্দরে
পোড়া বাড়ি থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। দমকলকর্মীরা এখনো বাড়ির ভিতর ঢুকে ঢুকে আগুন নেভানোর কাজ করছেন।
রাস্তায় তাজা বোমা
গ্রামের রাস্তায় এখনো পড়ে আছে তাজা বোমা। পুলিশ গিয়ে কিছু বোমা উদ্ধার করেছে।
ভয়াবহতার আরেক নাম
বাড়ির সামনে পড়ে আছে কলসি। জুতো, চটি। বাড়ির ভিতর আগুনে তছনছ হয়ে গেছে। পোড়া দেহগুলি শনাক্ত পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। এতই খারাপ অবস্থা।
শিশুদের মৃত্যু
স্থানীয় মানুষ ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরেই গ্রামে উত্তেজনা চলছিল। তার জেরে গ্রামের পুরুষরা আগেই পালিয়েছিল। যাদের পুড়ে মৃত্যু হয়েছে, তার অধিকাংশই নারী ও শিশু। প্রশাসন অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
নিহত ভাদু শেখ
স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ছবি। গন্ডগোলের সূত্রপাত তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই। চায়ের দোকানে তার মাথা লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। তার মৃত্যুর পরেই গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে ফিরহাদ হাকিম
মঙ্গলবারই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ভাদু শেখের বাড়িতে কথা বলছেন তিনি।
সিপিএমের প্রতিনিধি দল
সিপিএমের প্রতিনিধি দল সকালে ঢুকেছে গ্রামে। দলের সদ্য নিযুক্ত রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রবীণ নেতা বিমান বসু ঘটনাস্থলে যাবেন। সেলিম মঙ্গলবার অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সবকিছু ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এদিন গ্রামে ঢুকে সেলিম বলেন, পুলিশ সিন্ডিকেটের টাকায় চলছে।
বিজেপির প্রতিনিধি দল
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং রাজ্য নেতৃত্বের দল এদিন রামপুরহাটে যাবে। তারাও এলাকা ঘুরে দেখবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবিষয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। কেন্দ্রীয় মহিলা কমিশন এবং শিশু সুরক্ষা কমিশন রাজ্যকে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনের যুক্তি
তৃণমূল কর্মী খুন এবং আগুন লাগার বিষয়টি সম্পর্কযুক্ত কি না, তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট বার্তা দেয়নি রাজ্য প্রশাসন। মৃতের সংখ্যা নিয়েও একেকজন একেক কথা বলছেন। দমকলকর্মীরা বলেছিলেন মৃতের সংখ্যা ১০। স্থানীয় পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন মৃতের সংখ্যা সাত। রাজ্য পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন মৃতের সংখ্যা আট। গ্রামবাসীদের অভিযোগ মৃতের সংখ্যা আরো বেশি। পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা।
থমথমে পরিস্থিতি
সব মিলিয়ে থমথমে পরিস্থিতি রামপুরহাটের গ্রামে। সাংবাদিকদেরও বিশ্বাস করতে পারছেন না গ্রামের মানুষ। সন্ধের পর কাউকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।