1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল

২৭ জুলাই ২০২৩

ইউরোপের একাধিক দেশ এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলি দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

https://p.dw.com/p/4URQm
ইউরোপজুড়ে দাবানল
গ্রিসের দাবানলছবি: Petros Giannakouris/AP/picture alliance

ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলকে নতুন ক্লাইমেট হটস্পট বা জলবায়ু পরিবর্তনের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ক্যানারি দ্বীপ থেকে উত্তর আফ্রিকার একাধিক দেশ এবং তুরস্ক-- সর্বত্র দাবানল ছড়িয়ে গেছে। প্রবল হাওয়া, গরম এবং শুকনো আবহাওয়ার জন্য দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন।

দাবানলের জন্য তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলস্তর বাড়ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই দাবানলের ফলে খড়া দেখা দিতে পারে। প্রবল খাদ্যসংকট হওয়ার আশঙ্কাও আছে। কারণ, গরম এবং দাবানলের জন্য ফসল নষ্ট হচ্ছে।

দাবানলের এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গ্রিস থেকে তিউনিশিয়া সর্বত্র বিশেষ দল পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আগুন প্রতিরোধে কাজ করছে ওই দল। বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, ফ্রান্স, ইটালি, মালটা, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া এবং সার্বিয়া ইইউ-র এই দল গঠনে সাহায্য করেছে। গ্রিসের বিভিন্ন অঞ্চলে ইইউ সাড়ে চারশ দমকলকর্মী এবং সাতটি বিমান পাঠিয়েছে। যে বিমানের সাহায্যে আগুন নেভানোর কাজ করা যায়। দুইটি বিমান স্পেন দিয়েছে। যা তউনিশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। মিশরও গ্রিসে হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে।

গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপ এবং সমুদ্র সৈকত থেকে এখনো পর্যন্ত ২০ হাজার বাসিন্দা এবং পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোডস। সেখানে ১০ শতাংশ জমি সম্পূর্ণ জ্বলে গেছে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতেও দেখা যাচ্ছে, রোডস দ্বীপের একটি অংশ লাল হয়ে আছে।

গ্রিস থেকে তুরস্কের জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছেছে দাবানল। একাধিক জঙ্গলে আগুন লেগে গেছে। হাওয়ার দাপটে আগুন ছড়াচ্ছে। তাপমাত্রা কোনো কোনো জায়গায় ৪০ ডিগ্রির উপর পৌঁছে গেছে। তুরস্কেও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দমকলকর্মীরা কাজ করতে শুরু করেছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কোনো পদ্ধতিতেই এত ভয়ংকর আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)