1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভয়াবহ জাতিগত সহিংসতা কিরগিজস্তানে

১৪ জুন ২০১০

জাতিগত সহিংসতা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে৷ ইতিমধ্যে সেখানে সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে৷ কমপক্ষে ৭৫ হাজার শরণার্থী ইতিমধ্যেই কিরগিজস্তান থেকে উজবেকিস্তানে পালিয়েছে বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/Npy6
জালালাবাদ শহরে সহিংসতার অগ্নিরূপছবি: AP

গত বৃহস্পতিবার থেকে কিরগিজস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের শহর ওশ এ উজবেক এবং কিরগিজদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গা শুরু হয়৷ ক্রমেই তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের জালালাবাদ শহরে৷ উল্লেখ্য, গোটা কিরগিজস্তানে উজবেক গোষ্ঠীর লোকের হার শতকরা সাড়ে ১৪ শতাংশ হলেও এই দুটি শহরে প্রায় সমান সমান৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বরাত দিয়ে একাধিক বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, কিরগিজ এবং উজবেক গোষ্ঠীর লোকেরা একে অপরের ওপর হামলে পড়ছে, ধ্বংস করছে বাড়ি ঘর৷ বিশেষ করে সংখ্যাগুরু কিরগিজদের আক্রমণের মুখে অসহায় হয়ে পড়েছে সংখ্যালঘু উজবেক জনগোষ্ঠীর লোকজন৷ কিরগিজ সংসদের সাবেক ডেপুটি আলিশের সাবিরভ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এলাকার লোকজন আমাদের ডেকে বলেছে যে সেনারা তাদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুঁড়ছে৷ যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের গুলি করার আদেশ দেওয়া হলেও তা করা হচ্ছে না৷ উজবেক গোষ্ঠীভুক্ত এক নাগরিক বলেন, ‘সরকার আমাদের দেখছে না৷ এটা আমার নিজের দেশ, এখানে আমি জন্মেছি৷ কেন আমি এদেশ ছেড়ে চলে যাবো? কোথায় যাবো? '

Unruhen in Kirgisistan Flash-Galerie
উদ্বাস্তু উজবেকদের পাশে দাঁড়িয়েছে উজবেকিস্তানের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাছবি: AP

কিরগিজস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গত তিনদিনের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১১৩ জন৷ এর মধ্যে ওশ এ ৯২ জন এবং জালালাবাদে ২১৷ আহত হয়েছে ১৪০০ এরও বেশি মানুষ৷ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সূত্রে একাধিক বার্তা মাধ্যম জানিয়েছে যে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার মানুষ সীমান্ত এলাকা পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশ উজবেকিস্তানে পালিয়ে গেছে৷ কিরগিজ সীমান্ত এলাকার ডেপুটি কমান্ডার চোলপোনবেক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে উজবেকিস্তান৷ রেড ক্রস জানিয়েছে, ওই সব এলাকায় মানবিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করছে৷

এদিকে রোববার রাশিয়ার দেড়শ প্যারাট্রুপার কিরগিজস্তানে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়৷ তবে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা এই সংখ্যা তিনশ বলে জানিয়েছে৷ এর আগে কিরগিজস্তানের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান রোজা অতুনবায়েভা সহিংসতা বন্ধের জন্য রাশিয়ার সাহায্য কামনা করেন৷ রোববার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসমাইল ইসাকভ আবারও সেই আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন৷ তবে রাশিয়া জানিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ে তারা আজ সোমবার সাবেক সোভিয়েত ব্লকের দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে৷ অপরদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ইউরোপের দেশগুলোকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই