মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে হাত বাড়ালো ইইউ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০এর মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিদেশ নীতি প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন আজ মধ্যপ্রাচ্য যাচ্ছেন৷ দীর্ঘ ২০ মাস থমকে থাকার পর মার্কিন উদ্যোগে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে শুরু হওয়া এই ত্রিপাক্ষিক শান্তি আলোচনার অচলাবস্থা কাটানোর জন্য মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন দূত জর্জ মিচেল এখনো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ তিনি আজও ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বসে তাকে আলোচনায় রাজি করানোর তদবির করছেন৷ মিচেল বুধবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও দেখা করে বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র এবারে আরো বেশি বদ্ধপরিকর৷'
মিচেল আশা করছেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণে স্থগিতাদেশ না বাড়ানোর কারণে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যকার শান্তি আলোচনায় যে শৈত্য, স্থবিরতা এবং সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, তারা সেই শীতল বরফটি ভাঙতে সমর্থ হবেন৷ তিনি বলেছেন, ‘আমরা একটি অভিন্ন স্বার্থের সন্ধান করছি৷'
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিদেশ নীতি প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন আজ বিকেলে মধ্যপ্রাচ্য যাচ্ছেন৷ দীর্ঘকাল ধরে অমীমাংসিত এই রাজনৈতিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দও যে উদ্যোগী হয়েছেন, অ্যাশটনের বৃহস্পতিবারের এই মধ্যপ্রাচ্য সফর তারই ইঙ্গিতবহ৷ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে অ্যাশটনের রওনা হওয়ার কথা৷ তিনি জর্জ মিচেল এবং মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেবেন৷ উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী দলের চার সদস্যের মধ্যে ইইউ রয়েছে৷ যদিও রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং ইইউ এর মধ্যে এই মধ্যস্থতায় এখন পর্যন্ত একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই খানিকটা হলেও কার্যকরী চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছে৷
পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণ স্থগিতাদেশ না বাড়ানোর প্রশ্নে অনড় থাকলেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে শুরু হওয়া এই শান্তি আলোচনাটি ফলপ্রসূ করতে আহ্বান জানিয়েছেন৷
এদিকে আগামী শনিবার রামাল্লায় অনুষ্ঠিতব্য প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলও এর নির্বাহী কমিটির বৈঠকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস অংশ নিতে যাচ্ছেন৷ রামাল্লায় পিএলও এর এই বৈঠকে শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হতে পারে বলেও অনেকে ধারণা করছেন৷
প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন