মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অঙ্গীকার করলেন ট্রাম্প
২৩ মে ২০১৭বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে চেষ্টা করতে আগ্রহী৷ এই লক্ষ্য অর্জনে আমার পক্ষে যা করা সম্ভব, তা আমি করতে চাই৷’’
‘‘প্রেসিডেন্ট আব্বাস আমাকে এই ব্যাপারে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও আমাকে একইরকম আশ্বাস দিয়েছেন,’’ বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷
ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা শান্তি প্রচেষ্টা পুনরায় শুরুর উদ্যোগ নেয়ার কথা অতীতে আরও কয়েকবার বলেছেন ট্রাম্প৷ তবে কীভাবে তিনি তা করতে চান, সেটি বিস্তারিত বলেননি৷ সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনে রাতের খাবারের সময়ও ট্রাম্প বিষয়টি খোলাসা করেননি৷ শুধু বলেছেন, ‘‘আমি শুনেছি, এটি একটি অন্যতম কঠিন চুক্তি৷ আশা করছি, আমরা সেখানে পৌঁছতে পারব৷’’
মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পরও ট্রাম্প নির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব করেননি৷
উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে সবশেষ শান্তি আলোচনা হয়েছিল ২০১৪ সালের এপ্রিলে৷
আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প আবার জেরুসালেম যাওয়ার কথা৷ সেখানে তিনি ‘ইয়াদ ভাশেম হলোকস্ট মেমোরিয়াল’ পরিদর্শনে যাবেন৷ এরপর ইসরায়েল মিউজিয়ামে বক্তব্য রাখবেন৷
এর আগে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প সোমবার পূর্ব জেরুসালেমে অবস্থিত ইহুদিদের অন্যতম পবিত্র স্থান ‘ওয়েস্টার্ন ওয়াল’ পরিদর্শন করেন৷ সেই সময় তাঁর সঙ্গে ইসরায়েলি সরকারের কেউ ছিলেন না৷ ট্রাম্প যদি ইসরায়েলের কাউকে তাঁর সঙ্গে নিতেন, তাহলে সেটি পূর্ব জেরুসালেম নিয়ে ইসরায়েলের যে দাবি তার স্বীকৃতি দেয়া হতো বলে অভিযোগ উঠতো৷ কারণ, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে - আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যার অনুমোদন কখনোই দেয়নি৷ পরবর্তীতে পূর্ব জেরুসালেমকে যুক্ত করে ইসরায়েল পুরো জেরুসালেম শহর তাদের রাজধানী বলে দাবি করে৷ এদিকে ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুসালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ দেশের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে৷
ইসরায়েল সফর শেষে ট্রাম্প ভ্যাটিক্যান, ব্রাসেলস ও ইটালি যাবেন৷ সেখানে ন্যাটো ও জি সেভেন এর বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)