1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী

স্যমন্তক ঘোষ নতুন দিল্লি
২৭ নভেম্বর ২০২০

শুক্রবার চিঠি দিয়ে ইস্তফার কথা জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।

https://p.dw.com/p/3ltim
শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি: DW

আলোচনা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। পশ্চিমবঙ্গ মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল ছেড়ে দিতে পারেন। শুক্রবার দুপুরে জল্পনার অবসান ঘটালেন মন্ত্রী নিজেই। নিজের প্যাডে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে চিঠি লিখে তিনি জানিয়ে দিলেন মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু। দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামলেছেন দীর্ঘদিন ধরে।

শুধু মন্ত্রিত্বই ছাড়েননি শুভেন্দু। শুক্রবার সকালে রাজ্য সরকারের দেওয়া জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছেন। ছেড়ে দিয়েছেন মন্ত্রীর গাড়ি এবং পাইলট কার। বিজেপি সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, শনিবার দিল্লি আসবেন শুভেন্দু। সেখানে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে দলে যোগ দিতে পারেন বলেও কোনো কোনো মহল মনে করছে। শুভেন্দু দল ছাড়ার পরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ''তৃণমূলে কেউ সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারেন না। তিনি বিজেপিতে আসতে চাইলে স্বাগত।'' বস্তুত এর আগেও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দুর একাধিক বৈঠক হয়েছে বলে ডয়চে ভেলেকে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। যদিও শুভেন্দু বরাবরই তা অস্বীকার করেছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠতা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্ব থেকে। সামনে থেকে নন্দীগ্রামের আন্দোলন পরিচালন করেছেন শুভেন্দু। পূর্ব মেদিনীপুরকে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা অধিকারী গড় বলেও অভিহিত করেন। কারণ, শুভেন্দু. তাঁর বাবা শিশির এবং দুই ভাই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুর তো বটেই, পশ্চিম মেদিনীপুরেও অধিকারী পরিবারের বিপুল দাপট। ফলে শুভেন্দুর দল ছেড়ে দেওয়া আসন্ন ভোটে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

শুভেন্দুর পদত্যাগ নিয়ে তৃণমূলে কেউ মুখ খুলছেন না। বিজেপিও অপেক্ষা করছে শনিবারের জন্য। যদিও শুভেন্দু এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। শনিবার দিল্লি আসা নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ
স্যমন্তক ঘোষ ডয়চে ভেলে, দিল্লি ব্যুরো