মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ইউরোপ
১৩ মার্চ ২০১৩অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা ওইসিডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী ইউরো এলাকা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে চলেছে৷ জার্মানিতে এর লক্ষণ স্পষ্ট৷ জার্মানির রপ্তানির মাত্রাও বেড়ে চলেছে৷ অন্যদিকে ইউরোস্ট্যাট-এর তথ্য-পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে বলতে হয় – গত বছর দুর্বল দেশগুলি সত্যি মন্দার কবলে পড়েছিল৷ গোটা ইউরো এলাকায় অর্থনীতি ০.৬ শতাংশ হারে সঙ্কুচিত হয়েছে৷ ফলে প্রশ্ন উঠছে, শুধু কড়া হাতে ব্যয় সংকোচের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কিনা৷ নাকি অ্যামেরিকার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে ‘স্টিমুলাস প্যাকেজ' দেওয়া উচিত ছিল?
এই প্রশ্নে ইউরোপ দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে পড়েছে৷ ফ্রান্সের নেতৃত্বে কিছু দেশ অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে পদক্ষেপের ডাক দিচ্ছে৷ অন্যদিকে জার্মানি সহ বেশ কিছু দেশের বক্তব্য – ব্যয় সংকোচ ও সংস্কার ছাড়া কোনো পথ নেই৷ চলতি সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে৷
ইউরোপের অর্থনীতিকে দ্রুত চাঙ্গা করতে কী করা উচিত, তা নিয়ে এবারের সম্মেলনে আলাপ-আলোচনা হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তবে ঐকমত্যে আসতে হলে সদস্য দেশগুলিকে কঠোর অবস্থান ছেড়ে আরও নমনীয় হতে হবে, বলেছেন ইইউ প্রেসিডেন্ট হ্যারমান ফান রম্পয়৷ বিশেষ করে ব্রিটেন যেভাবে তার নিজস্ব স্বার্থ আদায় করতে গিয়ে বার বার একঘরে হয়ে পড়ছে, সেই বিষয়টি নিয়েও দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷ ফ্রান্স ও জার্মানিকেও তাদের নিজস্ব অবস্থান আঁকড়ে না ধরে মধ্যপন্থা নিতে হবে৷ তা না হলে আরও অচলাবস্থার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
সাইপ্রাসের অর্থনৈতিক সংকটের সরাসরি প্রভাব গ্রিসের উপর পড়ছে বলে গ্রিক সরকার দাবি করছে৷ তাদের মতে, দুই দেশের নীতির মধ্যে আরও সমন্বয়ের প্রয়োজন৷ ইটালি, স্পেন, পর্তুগাল, সাইপ্রাস ইত্যাদি দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷
এই অবস্থায় পুঁজিবাজারে আসলে কিছুটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ একদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত নেতিবাচক তথ্যের ফলে আশঙ্কা বাড়ছে৷ অন্যদিকে অবশ্য এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হচ্ছে৷
এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)