1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ভাষণে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

২২ জুলাই ২০২৪

২১ জুলাইয়ের বাৎসরিক সভা থেকে মমতা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ আসতে চাইলে পশ্চিমবঙ্গের দ্বার খোলা আছে।

https://p.dw.com/p/4iZNK
মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়
ছবি: DIBYANGSHU SARKAR/AFP

গত তিনদিন ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক সীমান্ত দিয়ে শয়ে শয়ে ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করছেন। মূলত ভারতীয় এবং নেপালি ছাত্রছাত্রী তারা। বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজে তারা পড়তে গেছিলেন। কেউ কেউ কাজও করতে গেছিলেন। দেশ জুড়ে ছাত্র আন্দোলন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর তারা ভারতে চলে আসছেন।

এই পরিস্থিতিতে রোববার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা ছিল তৃণমূলের। প্রতি বছরেই এই দিনটিতে ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। দলের সবচেয়ে বড় সভা এটি। সেই সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ''বাংলাদেশ একটি আলাদা দেশ। ফলে সেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারি না। যদি কিছু বলতে হয়, তা ভারত সরকার বলবে। তবে সেখান থেকে কেউ যদি ভারতে আসতে চান, পশ্চিমবঙ্গের দরজা তাদের জন্য় খোলা আছে।'' একথা বলেই জাতিসংঘের কথা উল্লেখ করেন মমতা। জানান, জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্য়ক্তি যদি পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিতে চান, তাহলে তা দিতে বাধ্য সেই দেশ। ফলে বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে আসতে চাইবেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে যারা আটকে পড়েছেন, সকলেই নিরাপদে পশ্চিমবঙ্গে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

পাশাপাশি এদিনের ভাষণে বাংলাদেশের ছাত্রদের কথাও উল্লেখ করেছেন মমতা। বলেছেন, ''যারই রক্ত ঝরুক, আমাদের সহমর্মিতা আছে। আমরা খবর রাখছি। ছাত্রছাত্রীদের মহানপ্রাণ, তাজা প্রাণগুলো ঝরে যাচ্ছে।''

তবে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে ভারতে যাতে কোনো উত্তেজনা না ছড়ায়, সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন মমতা। তার বক্তব্য়, কেউ যেন কোনো প্ররোচনায় পা না দেন। কোনো উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি না করেন।

অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ছাত্রদের সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক মিটিং মিছিল হয়েছে। বাম ছাত্ররা ঐক্য়বদ্ধভাবে বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে তারা বলেছে, বাংলাদেশের ছাত্রদের পাশে আছে তারা। সম্প্রতি তারা বেশ কয়েকটি মিছিলও করেছে। বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনের কাছে এমনই একটি মিছিল ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ ছাত্রদের আটক করে। যা নিয়ে বামপন্থিরা সরব হয়েছেন। তাদের বক্তব্য়, বাংলাদেশের কায়দাতেই এখানেও ছাত্র আন্দোলনের উপর আক্রমণ চালিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ। সোমবারও ছাত্রদের সভা এবং মিছিল হওয়ার কথা।

এদিকে ভারতেও আটকে পড়েছেন বহু বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী। তেমনই এক ছাত্র সুদীপ্ত চক্রবর্তী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছেন। ডয়চে ভেলেকে তিনি জানিয়েছেন, ''গত কয়েকদিন ধরে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। ভয়ংকর চিন্তা হচ্ছে। আমার বাড়ি যেখানে সেই অঞ্চলের অগ্নিগর্ভ ছবি ইন্টারনেটে দেখেছি। জানি না, কী চলছে সেখানে।''

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ
স্যমন্তক ঘোষ ডয়চে ভেলে, দিল্লি ব্যুরো