মরিয়া শরণার্থী শিবির: এক নতুন নরক
চলতি বছর লেসবসে অনেক শরণার্থী এসেছেন৷ প্রতিনিয়তই এই সংখ্যা বাড়ছে৷ ফলে মরিয়া ক্যাম্পের অবস্থা ক্রমশ শোচনীয় হয়ে পড়ছে যেখানে শরণার্থীরা অনেকক্ষেত্রে কোন সহায়তা পাচ্ছেন না৷
উপর থেকে দেখা
মরিয়া শরণার্থী শিবিরের ধারণক্ষমতা তিন হাজার৷ তবে, বর্তমানে সেখানে দশহাজারের মতো শরণার্থী কোনরকমে বসবাস করছেন৷ এই শিবিরটি হচ্ছে গ্রিসের সবচেয়ে বড় শরণার্থী অভ্যর্থনা এবং চিহ্নিতকরণ কেন্দ্র৷
গভীর ক্ষত
মরিয়াতে বসবাসরত একটি বড় অংশ অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় রয়েছেন৷ তাদের অনেকের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা দরকার৷ গাজায় ইসরায়েলের রকেট হামলায় গুরুতর আহত এই মেয়েটি মরিয়ায় বাইরের অংশের জলপাই বাগানে একটি তাঁবুতে বাবামায়ের সঙ্গে থাকে৷
শরণার্থী আসা অব্যাহত রয়েছে
আগস্ট মাসে তিন হাজারের মতো শরণার্থী নৌকায় করে লেসবসে পৌঁছেছেন৷ তাদের মধ্যে ৪০ জন একটি নৌকায় করে সেখানে পৌঁছান যারা সবই আফগানিস্তান থেকে এসেছেন৷
অপেক্ষার শুরু
সেই আগতদের মধ্যে ২২ শিশু এবং নারীকে একটি ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয়৷ আর বাকি ১৮ পুরুষকে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যাদের কর্তৃপক্ষ আলাদাভাবে শরণার্থী শিবিরে নেবে৷ লাইটহাউস নামের একটি বেসরকারি উন্নয়নসংস্থার স্বেচ্ছাসেবীরা নতুন আগতদের খাদ্য এবং খাবার পানি দেন৷
ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখা
মরিয়া শিবিরে কোনমতে তৈরি চুলায় রুটি বানাচ্ছেন এক আফগান নারী৷ দেশটির ঐহিত্যবাহী এই রুটির একেকটি এক ইউরোতে অন্য শরণার্থীদের কাছে বিক্রি করেন তিনি৷ মরিয়া শিবিরে দীর্ঘদিন ধরে থাকা শরণার্থীরা সময় কাটাতে এরকম নানা কাজের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখছেন৷
জরুরী চিকিৎসা সেবা
মরিয়া শিবিরে থাকা অসংখ্য শরণার্থীর চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন৷ তাই ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের’ উদ্যোগে শিবিরটির বাইরের অংশে শুধুমাত্র জরুরী রোগীদের জন্য একটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে৷
প্রতিদিন একই রুটিন
মরিয়াতে বর্তমানে সাড়ে আটহাজারের বেশি শরণার্থী আটকে আছেন৷ প্রতিদিন খাবার আর বিশুদ্ধ পানির জন্য দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাদের৷