মর্টার শেল ও গুলির শব্দে টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক
৩১ জানুয়ারি ২০২৪ভোররাত তিনটা থেকে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে আগের দিন মঙ্গলবার কোনো ধরনের শব্দ শোনা যায়নি।
গত বছর থেকে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গোলাগুলির ঘটনা ঘটে আসছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা এর সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যদিও গোলাগুলি হলে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, হঠাৎ করে মিয়ানমারের বিভিন্ন সীমান্তে মর্টার ও গুলির শব্দ ভেসে আসছে। এটি তাদের দেশেরঅভ্যন্তরীণ সমস্যা। তবে টেকনাফ সীমান্তে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যাতে এ সমস্যাকে কেন্দ্র করে নতুন করে কোনো ধরনের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ না ঘটে।
ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমি রাতে কক্সবাজারে ছিলাম, কিন্তু ভোররাত ৩টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত লালদিয়া সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের জামবনিয়া, রাইম্মবিল, পেরাংপুরু ও কাইনবন্যা এলাকায় থেমে থেমে মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলি হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, মিয়ানমারের সীমান্তে ২৮টি মর্টার শেল ও হাজারের বেশি গুলি ছোড়া হয়েছে। এতে করে সীমান্তের এ পারে বসবাসরত লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।'
প্রতিনিয়ত খুনোখুনি, হত্যা, অপহরণ, মুক্তিপণ, মাদক-চোরাচালানসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে যুক্ত রোহিঙ্গারা। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে সীমান্তের ওই পারে মর্টার শেল ও গুলির শব্দ। স্থানীয়দের নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরের মর্টার শেল ও গুলি এ পারে এসে পড়ে কি না, সে আতঙ্কে ভুগছেন টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দারা।
এপিবি/এসিবি (দৈনিক প্রথম আলো)